রক্তে এলার্জি বেশি হলে কি হয়

0
4
রক্তে এলার্জি বেশি হলে কি হয়
রক্তে এলার্জি বেশি হলে কি হয়

রক্তে এলার্জি বেশি হলে কি হয় এবং রক্তে এলার্জি সংক্রান্ত আরো অন্যান্য সকল তথ্য নিয়ে আজকে আর্টিকেল সাজানো হয়েছে। আপনারা যদি পুরো কন্টেন্ট করে আমাদের সঙ্গে থাকেন তাহলে আপনারা রক্তে এলার্জি সংক্রান্ত যাবতীয় সম্পর্কে জানতে পারবেন। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই সংক্রান্ত তথ্যগুলো সম্পর্কে।

রক্তে এলার্জি বেশি হলে কি হয় ?

 

রক্তে এলার্জি বেশি হলে কি হয়
রক্তে এলার্জি বেশি হলে কি হয়

 

রক্তে এলার্জি বেশি হলে কি হয় , রক্তে এলার্জি বেশি হলে অনেক ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। যে সকল সমস্যা গুলো আমাদের শরীরের জন্য হুমকি স্বরূপ হয়ে দাঁড়াতে পারে। পরবর্তী সময়ে আমাদের এই সমস্যা কারণে মৃত্যু হতে পারে। রক্ত এ এলার্জি বেশি হলে যে সকল সমস্যাগুলো হতে পারে তা নিম্নে আলোচনা করা হলো। রক্তে এলার্জি বেশি এনাফ্লেক্সিস হতে পারে। এই রোগ টি হলে বেশ কিছু লক্ষণ দেখা দিতে পারে।

যেমন:

  • শ্বাসকষ্ট
  • জিহ্বা বা ঠোঁট ফোলা ফোলা ভাব হাওয়া
  • মুখ ফুলে যাওয়া
  • চুলকানির সৃষ্টি হওয়া
  • ত্বকে লালচে দাগ দেখা দেওয়া
  • বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া
  • নিম্ন রক্তচাপ

আর অন্যান্য সমস্যা দেখা দিতে পারে। যদি আপনাদের এই সকল সমস্যাগুলো দেখা দেয় তবে আপনারা অবশ্যই খুব দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন। তা না হলে পরবর্তী সময় আপনার জীবন সংকটময়ী হতে পারে। এই রোগের জন্য জরুরি চিকিৎসা বেশ কয়েক রকম হতে পারে। আপনারা এই সকল চিকিৎসা গুলো গ্রহণ করতে পারেন।

যেমন:

  • অ্যাপিনফ্রিন ইনজেকশন গ্রহণ করা
  • অক্সিজেন থেরাপি
  • স্টেরয়েড
  • অ্যান্টিবায়োটিক ইত্যাদি।

এনাফ্লেক্সিস এর ঝুঁকি কমাতে হলে অবশ্যই আপনাদের বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। অর্থাৎ যে সকল কারণে আপনার অ্যালার্জি বৃদ্ধি পায় সেই সকল বিষয়গুলো থেকে আপনাকে দূরে থাকতে হবে। আপনার যে কোন কিছুতে এলার্জি থাকতে পারে। 

আপনি নিজে নিজে বুঝতে পারবেন আপনার কোন জিনিসগুলো বা কোন গুলো ব্যবহার করলে আপনার অ্যালার্জি সৃষ্টি হয়। আপনার যে বিষয়ের প্রতি এলার্জি থাকুক না কেন সেগুলো থেকে অবশ্যই দূরে থাকবেন। আর অবশ্যই আপনারা ডক্টরের পরামর্শ অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করবেন। তাহলে আপনারা এরূপ থেকে পরিত্রাণ পাবেন।

রক্তে এলার্জির লক্ষণ

আমাদের শরীরে অনেক রকম কারণে অ্যালার্জি সৃষ্টি হয়ে থাকে। রক্তে আমাদের এলার্জি সৃষ্টি হতে পারে। এটা অবশ্যই মারাত্মক একটি ব্যাধি। রক্তে এলার্জি বেশি হলে কি হয় এবং যে সকল লক্ষণগুলো দেখা দিতে পারে তা অবশ্যই আমাদের জানা উচিত। কেননা আমাদের অনেকেরই এনার্জি রয়েছে আমরা অনেক সময় ভেবে থাকি আমাদের রক্তে এলার্জি রয়েছে।

কিন্তু আমরা শিওর হতে পারি না রক্তে এলার্জি আছে কি নাই। রক্তে এলার্জি বেশি হলে কি হয় এবং যে সকল লক্ষণগুলো দেখা দিতে পারে সেগুলো যদি আমাদের সকলের জানা থাকে তবে অবশ্যই আমরা এ বিষয়ে সম্পর্কে জানতে পারব।

তো চলুন জেনে নেওয়া যাক রক্তে এলার্জির লক্ষণ গুলো সম্পর্কে :

  • রক্তে এলার্জি হলে আমাদের নাক দিয়ে অতিরিক্ত পরিমাণে পানি বের হবে।
  • গলাতে চাপা চাপা ভাব অনুভূত হবে।
  • তলপেটে ব্যথা অনুভূত হবে।
  • শরীরের বিভিন্ন স্থানে চুলকানির সৃষ্টি হবে।
  • চোখ লাল হবে।
  • শরীরে চাকা চাকা দাগ দেখা দিবে।
  • আমাদের ঘ্রান শক্তি কমে যাবে।
  • পেট কামড়ানো অর্থাৎ পেটে সমস্যা হবে।
  • বমি হওয়া অথবা বমি বমি ভাব অনুভূত হবে।

মূলত রক্তে এলার্জি হলে এই সকল লক্ষণগুলো দেখা দিতে পারে। যদি এলার্জির কারণে আপনাদের এই সকল লক্ষণ গুলোর সৃষ্টি হয় বা লক্ষণ গুলো দেখতে পান তবে অবশ্যই আপনারা ডক্টরের পরামর্শ নেবেন।

রক্তে এলার্জি কমানোর ঔষধ

রক্তে এলার্জি কমানোর জন্য বিভিন্ন ওষুধ রয়েছে। আপনাদের যদি রক্তে এলার্জি থেকে থাকে তাহলে আপনারা এই সকল ঔষধ গুলো ব্যবহার করতে পারেন। কারণ, এই সকল ওষুধগুলো আপনারা সেবন করলে আপনাদের রক্তে এলার্জি নিয়ন্ত্রণে থাকবে। তবে অবশ্যই ওষুধগুলো সেবন করার পূর্বে আপনারা ডক্টরের পরামর্শ নেবেন।

তাছাড়া সমস্যা বৃদ্ধিও পেতে পারে। কারণ অনেক ওষুধে সাইড ইফেক্ট থাকে সব ওষুধ সবার শরীরে অ্যাডজাস্ট হয় না। সুতরাং ওষুধ সেবন করার পূর্বে ডক্টরের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

রক্তে এলার্জি কমানোর ঔষধের নাম নিম্নে উল্লেখ করা হলো:

  • Acitrin
  • Cetmax
  • Atrizin
  • Citin
  • Alargol
  • Cetizin
  • Alatrol
  • Rizin
  • Dyzin
  • Nosemin

এছাড়াও আরো অন্যান্য ওষুধ রয়েছে। এই সকল ওষুধগুলো আপনারা সেবন করলে এই এলার্জিগুলো তৎক্ষণিক সময়ের জন্য কমবে। তবে অবশ্যই আপনারা ডক্টরের পরামর্শ নিবেন এবং ডক্টর যেভাবে বলে সেভাবে নিয়ম মেনে চলবেন। তাহলে আপনারা এই রোগ থেকে পরিত্রান পাবেন।

রক্তে এলার্জি থাকলে কি  হয় ?

রক্তে এলার্জি  থাকলে  আমাদের  বিভিন্ন  ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। সেই সকল সমস্যাগুলো যদি গুরুতর হয়ে যায় তবে আমাদের মৃত্যু হতে পারে ।  রক্তে এলার্জি বেশি হলে কি হয় তা  নিম্নে  উল্লেখ  করা হলো।

রক্তে এলার্জি থাকলে আমাদের শরীরের চুলকানি সৃষ্টি হতে পারে। আমরা যে কোন খাবার গ্রহণ করতে পারবো না। যে সকল কাজগুলোতে ধুলি-বালি রয়েছে সেই সকল কাজগুলো করতে পারবো না। কারণ অনেকেরই ধুলি-বালিতে অ্যালার্জি থেকে থাকে। আমরা যে কোন খাবার খেতে পারব না এলার্জি থাকলে।

আমরা যেকোন সুগন্ধি সহ্য করতে পারব না এলার্জি থাকলে। অনেক ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে এলার্জির জন্য। তাই আপনাদের যদি এর রক্তে এনার্জি সমস্যা রয়েছে তারা অবশ্যই এলার্জিজনিত খাদ্য, বস্তু, জিনিসপত্র ইত্যাদি থেকে দূরে থাকবেন।

রক্তে এলার্জি থাকলে কি কি খাওয়া যাবে না

রক্তে এলার্জি থাকলে আমাদের অনেক ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হয়। আমরা যে কোন স্থানে যে কোন খাবার খেতে পারি না। অনেক খাবারের প্রতি আমাদের আকর্ষণ থাকা সত্ত্বেও সে সকল খাবার গুলো শুধুমাত্র এলার্জির কারণে আমাদের বর্জন করতে হয়। অর্থাৎ এই সকল খাবার গুলো যদি আমরা অ্যালার্জি থাকা সত্ত্বেও খেয়ে থাকি তবে আমাদের শরীরে অনেক ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। যে সকল খাবার গুলো এ

লার্জির কারণে আপনারা খেতে পারবেন না তা নিম্নে উল্লেখ করা হলো :

  • দুধ
  • ডিম
  • চিনা বাদাম
  • তিল
  • মাছ
  • বিভিন্ন ধরনের বাদাম, যেমন, কাঠবাদাম, পাইনবাদাম, ব্রাজিল নাটস, পিক্যান্স ইত্যাদি।
  • বিভিন্ন ধরনের মাছ, যেমন, চিংড়ি, কাঁকড়া, শামুক ইত্যাদি।

এই সকল খাবারগুলোতে বেশি পরিমাণ এলার্জি থেকে থাকে। আপনাদের যদি এই সকল খাবারগুলোতে অ্যালার্জি থেকে থাকে তবে আপনারা খাবার খাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই বুঝতে পারবেন। আপনাদের যেহেতু এলার্জি রয়েছে সুতরাং আপনারা ইতিমধ্যে জানেন যে আপনাদের কোন কোন জিনিস বা কোন কোন বিষয়গুলোতে অ্যালার্জি রয়েছে। যে সকল খাবারগুলোতে আপনাদের এলার্জি রয়েছে সে সকল খাবার গুলো থেকে আপনারা দূরে থাকবেন। তাহলে আপনাদের অ্যালার্জি নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

রক্তে এলার্জি কমানোর ঘরোয়া উপায়

আপনার যদি রক্তে এলার্জি থেকে থাকে আর আপনি যদি ঘরোয়া উপায়ে রক্তে অ্যালার্জি কমাতে চাই তবে অবশ্যই আপনাকে বেশ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। কোন বিষয়ে অবহেলা করা যাবে না। যদি আপনি এই সকল নিয়ম মেনে না চলেন অবহেলা করেন তবে আপনারা এই রোগটি থেকে পরিত্রাণ পাবেন না। আপনি যদি এই রোগটি থেকে ঘরোয়া উপায়ের মাধ্যমে বাঁচতে চান অথবা রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান তবে অবশ্যই আপনাকে এই সকল বিষয়গুলোর দিকে বেশ নজর দিতে হবে।

প্রথমত আপনাকে ধূমপান পরিহার করতে হবে

আমরা সকলেই জানি ধূমপান আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। আর এই ধূমপানের কারণে আমাদের এলার্জি আরো বৃদ্ধি পায়। সুতরাং অবশ্যই ধূমপান পরিহার করতে হবে।

অ্যালকোহল পরিত্যাগ করতে হবে

অ্যালকোহল ও আমাদের এলার্জিকে বৃদ্ধি পেলে সাহায্য করে থাকে। যেহেতু আপনার অ্যালার্জি রয়েছে সুতরাং আপনার অ্যালার্জি থেকে দূরে থাকা উচিত।

এলার্জি যুক্ত খাবার পরিহার করুন

আপনাদের রক্তে এলার্জি থাকলে সেটি নিয়ন্ত্রণ রাখতে হলে অ্যালার্জিযুক্ত খাবার গুলো পরিহার করতে হবে। এলার্জিযুক্ত খাবার খেলে আপনাদের অ্যালার্জি খুব দ্রুত সময়ে কয়েক মিনিটের মধ্যে বৃদ্ধি পেয়ে যায়। সুতরাং সেই সকল খাবারগুলো থেকে অবশ্যই আপনাকে বিরত থাকতে হবে। এলার্জি বৃদ্ধি পেলে অনিয়ন্ত্রণ হয়ে গেলে জীবন সংকটময়ী হতে পারে। সুতরাং আপনাদের যে সকল খাবারগুলোতে অ্যালার্জি রয়েছে অবশ্যই সেই সকল খাবার গুলো পরিহার করতে হবে।

এলার্জি রক্ত সুগন্ধি পরিহার

আমরা অনেকেই অনেক রকম সুগন্ধি ব্যবহার করে থাকি। তবে যাদের অ্যালার্জি রয়েছে তারা সব রকম সুগন্ধি সহ্য করতে পারে না। তাই আপনাদের যে সকল সুগন্ধিতে সমস্যা রয়েছে অর্থাৎ এলার্জি সৃষ্টি হয় আপনারা সেই সকল সুগন্ধি গুলো থেকে দূরে থাকুন। এক কথায় যেহেতু আপনার অ্যালার্জি সমস্যা রয়েছে সুতরাং আপনারা যে সকল বিষয়গুলোতে আপনার অ্যালার্জি রয়েছে সবগুলো থেকে আপনাকে দূরে থাকতে হবে।

অনেকের অনেক ধরনের এলার্জি থেকে থাকে। ধূলিজনিত কারণে অ্যালার্জি সৃষ্টি হতে পারে বা এলার্জি বৃদ্ধি পেতে পারে। বিভিন্ন গন্ধের কারণে এলার্জি বৃদ্ধি পেতে পারে। আরো অন্যান্য বিষয়ে অ্যালার্জি বৃদ্ধি পেতে পারে। সুতরাং আপনাদের যাদের এই সকল বিষয় অথবা গন্ধ জনিত যেকোনো বিষয়ে এলার্জি থাকলে অবশ্যই আপনারা যে কোন কাজ করার পূর্বে বা যে কোন জায়গায় যাবার পূর্বে মাক্স ব্যবহার করবেন। তাহলে আপনারা এই সকল এলার্জিগুলো থেকে বাঁচতে পারবেন বা সুরক্ষিত থাকবেন।

রক্তে এলার্জির হোমিও ঔষধ

মানুষের শরীরে এলার্জি হওয়ার পর সেটা প্রতিকারের জন্য নানান ধরনের উপায় অবলম্বন করে , বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা করালেও কিছু মানুষ হোমিওপ্যাথির ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল। কারণ হোমিওপ্যাথি ঔষধ দ্বারা সমস্যার সমাধান হতে কিছুটা দেরি হলেও তা সফলভাবে প্রতিকার পাওয়া যায়। যদিও অনেকেই মনে করেন হোমিওপ্যাথি ঔষধের অনেক ধরনের সাইট ইফেক্ট থাকে।

আমরা আপনাদের সঙ্গে এমন কিছু হোমিওপ্যাথি ওষুধ নিয়ে আলোচনা করব যেগুলোর মাধ্যমে আপনারা রক্ত এলার্জি প্রতিকার করতে পারেন ।

ওয়াইথিয়া ( Wyethia )

যখন আমাদের তালুতে তীব্র চুলকানি হয় এবং আমরা জিভ দিয়ে সেগুলো কামড়াতে থাকি , এ ধরনের চুলকানি উপশম করতে ওপরের ঔষধটি ভীষণভাবে কার্যকরী। এছাড়াও রোগীর শরীরের মুখ গলা নাক ইত্যাদি জায়গায় শুকনো শুকনো ভাব এবং চোখ কান গলা সহ হাত পায়ের তালুতে চুলকানি হলে ঔষধটি ব্যবহার করা যেতে পারে ।

সাবাধিলা ( Sabadila )

মুখের মধ্যে যখন তৃষ্ণা হীন অবস্থা হয়ে যায় , তালুতে চুলকানির পর একটি গন্ধের সৃষ্টি হয় এবং নাকের ভিতরে জলযুক্ত স্রাব তৈরি হয় ঠিক সেই সময় ওষুধটি ব্যবহার করা যায় ।

পুলসেটিলা ( pulsatilla )

আমরা অনেক সময় লক্ষ্য করে আমাদের অতিরিক্ত হাঁচি হয়ে থাকে , আমরা হাসিটাকে স্বাভাবিকভাবে নিলেও এটি আসলে রক্তে এলার্জির প্রভাবে হতে পারে । যাদের ঘন ঘন হাঁচি এবং নাক এবং কানের কিছু অংশ পেকে যায় তাদের ক্ষেত্রে এই ওষুধটি কার্যকর ভূমিকা রাখে।

কালী বিক্রমিকাম ( kali Bichromicum )

রক্তের এলার্জি দূর করার জন্য এটিও একটি কার্যকর ঔষধ । সাধারণভাবে যখন শরীরের বিভিন্ন স্থানে হলুদ সবুজ এক ধরনের দাগ লক্ষ করা যায় সেগুলোকে দূর করার জন্য ওষুধটি অনেক ভালো কাজ করে ।

ইউ্ফ্রেসিয়া ( Euphrasia )

অনেক সময় বাতাসে গেলে আমাদের চোখ দিয়ে অনবরত পানি পড়তে থাকে । চোখের পানিগুলো ধীরে ধীরে ঘন হতে থাকে। রক্তে এলার্জি থাকার কারণে এ ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। উক্ত সমস্যার ক্ষেত্রে এই ওষুধটি ব্যবহার করা যেতে পারে। এছাড়া ওর চোখের আশেপাশের চুলকানি এবং চোখ জ্বলজ্বল ভাব থাকা অবস্থায়ও সত্যি ব্যবহার করা যায়।

নাটরাম মিউরিটিকাম ( Natrum Muriaticum )

স্বাভাবিকভাবে রক্তে এলার্জি সংক্রমণ যখন অনেক বেশি বেড়ে যায় তখন শরীর ঘেমে যায় , শরীরের মধ্যে একটা ক্লান্তি ক্লান্তি ভাব চলে আসে । খাবারে অরুচি আসে। চোখের পাতার উপরে ফোলা ফোলা ভাব হয় এবং হালকা ঘেমে যায়। পাশাপাশি মুখমণ্ডলে চুলকানি সৃষ্টি হয়। এ ধরনের অবস্থায় উপরের ঔষধটি ব্যবহার করতে হবে। উক্ত ওষুধ ব্যবহারের ফলে খুবই দ্রুত রক্ত এলার্জি থেকে প্রতিকার পাওয়া সম্ভব।

লেখকের ইতিকথা

আমরা অনেকেই অসচেতনতার অভাবে বাজার থেকে যেকোন ঔষধ ক্রয় করে সেবন করে সুস্থ হওয়ার চেষ্টা করি । যা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ একটি ব্যাপার। উপরে দেওয়া ঔষধ গুলো কখনোই নিজে নিজে সেবন করা ঠিক না। কিংবা বড় হোক ওষুধ সেবনের পূর্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া বাঞ্ছনীয়। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবন করে কোন ধরনের সমস্যায় পড়লে আমাদের ওয়েবসাইট দায়ী নয়। আমাদের ওয়েবসাইট শুধুমাত্র আপনাদেরকে তথ্য সরবরাহ করে।

সুস্থতা থেকে আরও পড়ুন

অ্যালার্জি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here