ঠান্ডা কাশির ঔষধের নাম কি ?
ঠান্ডা সর্দি কাশি আমাদের সকলের অতি পরিচিত একটি অসুখের নাম। কেননা এই অসুখটি আমাদের সকলেরই কিছুদিন পরপর হয়ে থাকে। বিশেষ করে ঋতু পরিবর্তনের সময় আমাদের শরীর আবহাওয়ার সাথে খাপ খাওয়াতে না পারার ফলে জ্বর ঠান্ডা এবং সর্দিকাশি হয়ে থাকে। ঠান্ডা কাশি হলে আমরা তা নিরাময় করার জন্য বিভিন্ন ঔষধ সেবন করে থাকি। তাই অনেকেই জানতে চাই যে ভালো ঠান্ডা কাশির ঔষধের নাম। এই পোস্টে ঠান্ডা এবং সর্দিকাশি নিরাময় করার জন্য সবচেয়ে কার্যকরী কয়েকটি ঔষধের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। পুরো পোস্ট টি পড়বেন আশা করছি আপনাদের উপকারে আসবে।
ঠান্ডা কাশির ঔষধের নাম কি ?
আমাদের সকলেরই জানা উচিত যে ঠান্ডা এবং সর্দিকাশি হলে শুরুতেই কোন ঔষধ খাওয়া ঠিক না। কেননা ঠান্ডা এবং সর্দিকাশির মাধ্যমে আমাদের দেহের ভিতরে থাকা ময়লা কফ আকারে বেরিয়ে যায়। সাধারণত আমাদের ঠান্ডা এবং সর্দিকাশি হলে তা একটি নির্দিষ্ট সময়ে এমনিতেই ভালো হয়ে যায়। তবে ঠান্ডা এবং সর্দিকাশি ৪/৫ দিনের বেশি স্থায়ী হলে তা স্বাভাবিক ঠান্ডা এবং সর্দিকাশি নয়।
তা নিরাময় করতে অবশ্যই যেকোনো ঠান্ডার ঔষধ সেবন করতে হবে। ঠান্ডা এবং সর্দিকাশি হলে ২ থেকে ৩ দিন এর মধ্যে ঔষধ খাওয়া ঠিক নয়। তবে এর বেশি সময় স্থায়ী হলে ঔষধ সেবন করা অত্যাবশ্যক। তাই ঠান্ডা লাগলে আমরা তা নিরাময় করার জন্য ভালো ঠান্ডা কাশির ঔষধের নাম জানতে চাই। এখানে কয়েকটি ঠান্ডার সবচেয়ে কার্যকরী ঔষুধের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
নিচে সবচেয়ে কার্যকরী কয়েকটি ঠান্ডা কাশির ঔষধের নাম উল্লেখ করা হলো:
১। হিস্টাসিন ট্যাবলেট-(Histacin)
২। ফেক্সো ৬০ অথবা ১২০ ট্যাবলেট-(Fexo 60/120)
৩। হিস্টালেক্স ট্যাবলেট-(Histalex)
৪। ডেসলর ট্যাবলেট-(Deslor)
৫। নাপা এক্সটেন্ড ট্যাবলেট-(Napa Extend)
৬। ইবাস্টেন ট্যাবলেট-(Ebasten)
৭। নিউসিলর ট্যাবলেট-(Neocilor)
৮। ডকসিক্যাপ ট্যাবলেট-(Doxicap)
উল্লেখিত ট্যাবলেট গুলো সেবন করলে খুব অল্প সময়েই ঠান্ডা এবং সর্দিকাশি নিরাময় হয়ে যায় ।
নিচে উল্লেখিত ঠান্ডার ঔষধের মূল্য এবং ব্যবহার বিধি তুলে ধরা হলো:
১। হিস্টাসিন ট্যাবলেট-(Histacin): হিস্টাসিন ট্যাবলেটটি ঠান্ডা লাগলে প্রথমিক অবস্থায় সেবন করলে ঠান্ডার প্রভাব একটু কম হয়। এবং আমাদের ভিতরে থাকা ময়লা কফ আকারে বের হতে সাহায্য করে থাকে। তবে এই ট্যাবলেটটি ঠান্ডার দারুণ একটি প্রতি নাশক। ১০ টি ট্যাবলেট অর্থাৎ ১ পাতার মূল্য ১০ টাকা।
২। ফেক্সো ৬০ অথবা ১২০ ট্যাবলেট-(Fexo 60/120): ফেক্সো এ ট্যাবলেটটি আমাদের শরীরের ঠান্ডা এবং সর্দিকাশি নিরাময়ের পাশাপাশি শরীরের চুলকানির প্রতি নাশক হিসেবেও বেশ কার্যকরী। তবে এটি ঠান্ডা এবং সর্দিকাশি নিরাময়ের জন্য সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ফেক্সো ১২০, ১০ টি ট্যাবলেট অর্থাৎ ১ পাতার মূল্য ৮০ টাকা।
৩। হিস্টালেক্স ট্যাবলেট-(Histalex): এই হিস্টালেক্স ট্যাবলেটটি ঠান্ডা এবং সর্দিকাশি ধীরে ধীরে নিরাময় করে থাকে। এটি ১৫ থেকে ১৭ টি ট্যাবলেট সেবন করতে হবে। ৩/৪ দিন এই ঔষুধটি সেবন করলে ঠান্ডা এবং সর্দিকাশি নিরাময় হয়ে যাবে। হিস্টালেক্স ১০ টি ট্যাবলেট অর্থাৎ ১ পাতার মূল্য ০৫ টাকা।
৪। ডেসলর ট্যাবলেট-(Deslor): ডেসলর এই ট্যাবলেটটি আমাদের ঠান্ডা এবং সর্দিকাশি নিরাময় করার জন্য খুবই কার্যকরী একটি ঔষধ। এটি একদিনে দু’বেলা সেবন করতে হবে। ডেসলর ১০ টি ট্যাবলেট অর্থাৎ ১ পাতার মূল্য ৪০ টাকা।
৫। নাপা এক্সটেন্ড ট্যাবলেট-(Napa Extend): নাপা এক্সটেন্ড এই ট্যাবলেটটি ঠান্ডা এবং সর্দিকাশি নিরাময়ের পাশাপাশি জ্বর, মাথা ব্যাথা, দাঁতে ব্যাথার প্রতি নাশক হিসেবেও ব্যবহার করা হয়। তবে এই ট্যাবলেটটি ঠান্ডা, সর্দি কাশি এবং জ্বর নিরাময় করতে সবচেয়ে বেশি কার্যকরী হয়ে থাকে। নাপা এক্সটেন্ড ১০ টি ট্যাবলেট অর্থাৎ ১ পাতার মূল্য ২০ টাকা।
৬। ইবাস্টেন ট্যাবলেট-(Ebasten): ইবাস্টেন ট্যাবলেটটি আমাদের শরীরে ঠান্ডা এবং সর্দিকাশি খুব তীব্র আকার ধারন করে তখন এটি ব্যবহার করা হয়। এটি ঠান্ডা এবং সর্দিকাশি খুব দ্রুত নিরাময় করে থাকে। ইবাস্টেন ট্যাবলেট এক পাতা সেবন করলেই ঠান্ডা এবং সর্দিকাশি নিরাময় হয়ে যাবে। এটি একদিনে দু’বেলা সেবন করতে হবে। ইবাস্টেন ১০ টি ট্যাবলেট অর্থাৎ ১ পাতার মূল্য ৮০ টাকা।
৭। নিউসিলর ট্যাবলেট-(Neocilor): ঠান্ডা লাগলে এই ট্যাবলেটটি সেবন করা হলে ঠান্ডার প্রাথমিক অবস্থায় নাক দিয়ে যে পানি বের হয় তা বন্ধ করে। এবং ঠান্ডার প্রাথমিক অবস্থায় নাকে যে ব্যাথা হয় তা নিরাময় করে থাকে। এটি ঠান্ডা এবং সর্দিকাশি নিরাময় করতে অনেক কার্যকরী হয়ে থাকে। এটি একদিনে দু’বেলা সেবন করতে হবে। নিউসিলর ১০ টি ট্যাবলেট অর্থাৎ ১ পাতার মূল্য ২৫ টাকা।
৮। ডকসিক্যাপ ট্যাবলেট-(Doxicap): এই ডকসিক্যাপ ট্যাবলেটটি ঠান্ডা এবং সর্দিকাশির পাশাপাশি জ্বর ও গলা ব্যাথার প্রতি নাশক হিসেবে কাজ করে। তবে এটি ঠান্ডা এবং সর্দিকাশি হলে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয়। ঠান্ডা এবং সর্দিকাশি হলে ১৪ টি ডকসিক্যাপ ট্যাবলেট সেবন করতে হবে। ডকসিক্যাপ ১০ টি ট্যাবলেট অর্থাৎ ১ পাতার মূল্য ২০ টাকা।
এই ঠান্ডার ট্যাবলেট গুলোর উল্লেখিত মূল্য স্থান বেধে কিছুটা কম বেশি হতে পারে। আপনার ঠান্ডা এবং সর্দিকাশি হলে এই ট্যাবলেট গুলোর যেকোনো একটি সেবন করতে পারেন। এই ট্যাবলেট গুলো ঠান্ডা এবং সর্দিকাশি নিরাময়ে খুবই কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
বাচ্চাদের ঠান্ডা কাশির ঔষধের নাম কি ?
সন্তান জন্ম হওয়ার পর সব মা বাবাই চান তার সন্তানকে সবসময় সুস্থ রাখতে। কিন্তু অনেক যত্ন নেওয়ার পরেও দেখা যায় তাদের জ্বর ঠান্ডা এবং সর্দিকাশির মতো অসুখ হয়ে যায়। বাচ্চাদের ঠান্ডা কাশি হলে মা বাবা তাদের ঠান্ডা ও সর্দিকাশির বিভিন্ন ঔষধ সেবন করান যার ফলে বাচ্চারা সুস্থ হয়ে যায়।
তবে বাচ্চারা অসুস্থ হলেই তাদের যেকোনো ঔষধ সেবন করানো যায় না কেননা সব ঔষধেরই বিভিন্ন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে এই জন্য তাদের ভালো ঔষধ সেবন করাতে হয়। তাই অনেক মা বাবাই জানতে চায় বাচ্চাদের ভালো ঠান্ডা কাশির ঔষধের নাম ।
নিচে বাচ্চাদের কয়েকটি ঠান্ডা কাশির ঔষধের নাম উল্লেখ করা হলো :
১। মিইকোসল ড্রপ/সিরাপ-(Mucosol)
২। পিডিয়ামিন সিরাপ-(Pedeamin)
৩। টোফেন সিরাপ-(Tofen)
৪। ফেক্সো সিরাপ-(Fexo)
৫। এ্যাডোভাস সিরাপ-(Adovas)
এই সিরাপ গুলো বিশেষ করে বাচ্চাদের ঠান্ডা এবং কাশি নিরাময় জন্যই তৈরি করা হয়েছে। আপনার সন্তানের ঠান্ডা এবং সর্দিকাশি হলে উল্লেখিত সিরাপ গুলোর একটি সেবন করাতে পারেন। এই সিরাপ গুলো বাচ্চাদের ঠান্ডা এবং সর্দিকাশি নিরাময় করতে খুবই কার্যকরী।
নিচে সিরাপ গুলোর ব্যবহার বিধি এবং মূল্য উল্লেখ করা হলো:
১। মিইকোসল ড্রপ/সিরাপ-(Mucosol): মিউকোসলের ২টি ঔষধ রয়েছে। একটি হচ্ছে মিউকোসল ড্রপ যা ০-২ বছরের বাচ্চাদের জন্য অন্যটি মিউকোসল সিরাপ যা অন্যান্য বয়সীদের জন্য। এটি বাচ্চাদের ১২ ড্রপ খাওয়াতে হয় একদিনে দুবার। এবং বড়দের দুই চামচ করে দিনে দুবার। মিউকোসল একটি সিরাপের মূল্য ৩৫ টাকা।
২। পিডিয়ামিন সিরাপ-(Pedeamin): পিডিয়ামিন সিরাপটি ৩-৬ মাস বয়সী বাচ্চাদের হাপ চা চামচ দিনে দুবার সেবন কররবেন। এটি ২-৩ দিন সেবনে আপনার বাচ্চার ঠান্ডা এবং সর্দিকাশি নিরাময় হয়ে যাবে। একটি পিডিয়ামিন সিরাপের মূল্য ৪০ টাকা।
৩। টোফেন সিরাপ-(Tofen): টোফেন সিরাপ টি ঠান্ডা নিরাময় করতে খুব ভালো কাজ করে থাকে। এটি ৬ মাস থেকে ১ বছর বয়সী বাচ্চাদের জন্য হাপ চা চামচ দিনে দুবার সেবন করতে পারেন। এটি দিনে দুবার খাওয়ার পর খাওয়াতে হবে। এটি ব্যবহারে ২-৩ দিনের মধ্যে ফলাফল দেখতে পাবেন। একটি টোফেন সিরাপের মূল্য ৭০ টাকা।
৪। ফেক্সো সিরাপ-(Fexo): ফেক্সো সিরাপটিও বাচ্চাদের ঠান্ডা নিরাময় করার অনেক কার্যকরী একটি ঔষধ। এটি ১-২ বছরের বাচ্চাদের জন্য হাপ চা চামচ দিনে দুবার সেবন করাতে পারেন। অবশ্যই এটি খাবার খাওয়ার পর সেবন করাতে হবে। এটি ব্যবহারে ২ দিনের মধ্যে ঠান্ডা এবং সর্দিকাশি নিরাময় হয়ে যায়। একটি ফেক্সো সিরাপের মূল্য ৫০ টাকা।
৫। এ্যাডোভাস সিরাপ-(Adovas): এ্যাডোভাস সিরাপটি ঠান্ডার প্রতি নাশক হিসেবে খুব ভালো কাজ করে। এটি বাচ্চা এবং বড়দের উভয়ের ক্ষেত্রেই ব্যবহার করা যেতে পারে। বাচ্চাদের হাপ চা চামচ করে দিনে দুবার এবং বয়স্কদের ক্ষেত্রে দু চামচ করে দিনে ২/৩ বার সেবন করতে পারে। এটি নিয়মিত ২-৩ দিন সেবন করলে ঠান্ডা নিরাময় হয়ে যায়। একটি এ্যাডোভাস সিরাপের মূল্য ৬৫ টাকা।
আপনার বাচ্চার ঠান্ডা এবং সর্দিকাশি হলে এই সিরাপ গুলো নিঃসন্দেহে ব্যবহার করতে পারেন। যদিও এই সিরাপ গুলোর সাইড এফেক্ট নেই তবুও ঔষধ মানে তার সাইড এফেক্ট আছে তাই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া ভালো।
বাচ্চাদের কফ সিরাপ এর নাম ।
আমাদের দেশে খুব দ্রুত সময়ে ঋতু পরিবর্তনের কারনে আবহাওয়াও খুব দ্রুত পরিবর্তন হয়ে থাকে। আবহাওয়ার এ দ্রুত পরিবর্তনের কারনে আমাদের শরীর তাপমাত্রার সাথে খাপ খাওয়াতে না পেরে জ্বর, ঠান্ডা এবং সর্দিকাশি হয়। তবে বাচ্চাদের নানা কারনেই ঠান্ডা এবং সর্দিকাশি হতে পারে।
বিশেষ করে শীতকালে বাচ্চাদের সাবধানে রাখলেও ঠান্ডা এবং সর্দিকাশি হয়ে থাকে। শীতকালে এই ঠান্ডা থেকে বাচ্চাদের গলায় এবং বুকে কফ জমে যায়। অনেক সময় দেখা যায় এই ঠান্ডা এবং সর্দিকাশি ভাল হয়ে গেলেও বুকে এবং গলায় কফ জমে যায়। তাই আমরা বাচ্চাদের কফ জমে গেলে বাচ্চাদের ভালো কফ সিরাপ এর নাম জানতে চাই এবং জানতে চাই ঠান্ডা কাশির ঔষধের নাম ।
নিচে বাচ্চাদের কার্যকরী কয়েকটি কফ দূর করার সিরাপের নাম উল্লেখ করা হলো :
১। এমব্রোক্স সিরাপ-(Ambrox)
২। এমবোলিট সিরাপ-(Ambolyt)
৩। রিকফ সিরাপ-(Recof)
৪। তুষ্কা প্লাস সিরাপ-(Tusca Plus)
৫। ওকফ/ওফকফ সিরাপ-(Ocof/Ofkof)
৬। বোকফ সিরাপ-(Bukof)
উল্লেখিত সিরাপ গুলো শিশুদের বুকে এবং গলায় জমাট বাঁধা কফ দূর করতে অনেক কার্যকরী। এই সিরাপ গুলো যেকোনো একটি আপনার বাচ্চার বুকে এবং গলায় কফ জমলে তাকে সেবন করাতে পারেন। এই সিরাপ গুলো নিয়মিত সেবন করালে ৩-৪ দিনের মধ্যে কফ সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
নিচে সিরাপ গুলোর ব্যবহার বিধি এবং মূল্য উল্লেখ করা হলো :
১। এমব্রোক্স সিরাপ-(Ambrox): এই সিরাপটি বুকে জমাট বাঁধা কফ দূর করে থাকে এবং যাদের ব্রংকাইটিস রয়েছে তাদের জন্য অত্যান্ত কার্যকরী একটি সিরাপ। এই সিরাপটি ২-৫ বছরের বাচ্চাদের ক্ষেত্রে হাপ চা চামচ দিনে ২ বার সেবন করাতে হবে । ৫-১০ বছরের বাচ্চাদের ক্ষেত্রে এক চা চামচ করে ২ বার সেবন করাতে হবে এবং ১০ বছরের বেশি হয়ে থাকলে ২ চামচ করে দিনে তিন বার সেবন করাতে পারেন। একটি ১০০ মিলি এমব্রোক্স সিরাপের মূল্য ৫০ টাকা।
২। এমবোলিট সিরাপ-(Ambolyt): এমবোলিট সিরাপ কফকে তরলে পরিনত করে ভিতর থেকে বের করে দেয়। এ সিরাপটি ২-৫ বয়সের বাচ্চাদের হাপ চা চামচ করে দিনে ৩ বার সেবন করাতে পারেন। এবং ৫-১০ বছরের বাচ্চাদের এক চা চামচ করে দিনে ৩ বার সেবন করাতে পারেন। পূর্ণ বয়স্করা দু চা চামচ করে দিনে তিন বার সেবন করাতে পারেন। একটি ১০০ মিলি এমবোলিট সিরাপের মূল্য ৪০ টাকা।
৩। রিকফ সিরাপ-(Recof): রিকফ সিরাপটি বাচ্চাদের কফ নিরাময় করার জন্য অত্যান্ত কার্যকরী একটি সিরাপ। এটি ১ মাস থেকে ২ বছরের বাচ্চাদের ক্ষেত্রে হাপ চা চামচ দিনে দুবার সেবন করাতে হবে। ২-৫ বছরের বাচ্চাদের ক্ষেত্রে হাপ চা চামচ করে দিনে ৩ বার সেবন করাতে হবে। এবং ৫-১০ বছরের বাচ্চাদের জন্য ১ চা চামচ করে দিনে ৩ বার সেবন করাতে হবে। একটি ১০০ মিলি রিকফ সিরাপের মূল্য ৪৫ টাকা।
৪। তুষ্কা প্লাস সিরাপ-(Tusca Plus): এই তুষ্কা প্লাস সিরাপটি বুকের এবং গলার কফ খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে নরম করে বের দেয়। এই সিরাপটি ২ চা চামচ করে দিনে তিন বার সেবন জরতে হবে। এই সিরাপটি ৪-৫ দিন ব্যবহারে কফ নিরাময় হয়ে যাবে। একটি ১০০ মিলি তুষ্কা প্লাস সিরাপের মূল্য ৮০ টাকা।
৫। ওকফ/ওফকফ সিরাপ-(Ocof/Ofkof): ওকফ এই সিরাপটি কফ পরিষ্কারের পাশাপাশি গলায় খুসখুস, নাক দিয়ে পানি পরা, নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং সর্দি নিরাময় করে থাকে। এই সিরাপটি ২ বছরের কম সময়সী শিশুদের জন্য ব্যবহার নিষিদ্ধ। এটি দিনে ২ চা চামচ করে ৩ বেলা সেবন করতে পারেন। একটি ১০০ মিলি ওকফ সিরাপের মূল্য ১০০ টাকা।
৬। বোকফ সিরাপ-(Bukof): বাচ্চাদের বুকে কফ জমা হলে বোকফ এই সিরাপটি সেবনে বুকের কফ আমরা যখন মল ত্যাগ করি সে মলের সাথে বাহিরে বেরিয়ে যায়। বোকফ সিরাপটি ৩-৬ বছরের শিশুদের দিনে ২ চা চামচ করে ২ বার সেবন করাতে হবে। একটি ১০০ মিলি সিরাপের মূল্য ৮০ টাকা।
উল্লেখিত সবগুলে সিরাপ অবশ্যই খাবার খাওয়ার পরে সেবন করতে হবে। এই সিরাপ গুলো বুকের এবং গলার কফ নিরাময় করতে অত্যান্ত কার্যকরী। তবে সকল ঔষধ সেবনের পূর্বে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উত্তম।
খুশখুশে কাশির সিরাপ এর নাম ।
আমরা সাধারণত দেখে থাকি যে শীতকাল আসলেই সকলেরই ঠান্ডা এবং সর্দিকাশি হয়ে থাকে। তবে ঠান্ডা, সর্দি কিছুদিন পর ভালো হয়ে। কিন্তু অনেক সময় দেখা ঠান্ডা সর্দি ভালো হয়ে গেলেও অনেকের মধ্যে শুষ্ক কাশি বা খুসখুসে কাশি দেখা যায়। এই খুসখুসে কাশি অনেক বিরক্তিকর হয়ে থাকে। তাই আমরা এই শুষ্ক কাশি বা খুসখুসে কাশি নিরাময় করার জন্য জানতে চাই খুসখুসে কাশির সিরাপ এর নাম এবং ভালো ঠান্ডা কাশির ঔষধের নাম ।
নিচে কয়েকটি গলার খুশখুশে কাশি দূর করার সিরাপ এর নাম উল্লেখ করা হলো :
১। টোসপেল সিরাপ-(Tuspel)
২। ডেক্সট্রিম সিরাপ-(Dextrim)
৩। মাধুভাস সিরাপ-(Maduvas)
৪। রিমোকফ সিরাপ-(Remocof)
৫। বাসক সিরাপ-(Basok)
৬। তুলসী সিরাপ-(Tulsi)
৭। হানিভাস সিরাপ-(Honeybas)
৮। ডিভাস সিরাপ-(Devas)
এখানে উল্লেখিত প্রায় সব গুলো সিরাপ কাশির হারবাল সিরাপ। এই সিরাপ গুলোতে যেহেতু কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই সে জন্য ছোট বড় সবাই এই সিরাপ গুলো সেবন করতে পারেন। প্রতিটি সিরাপ শুষ্ক কাশি এবং খুসখুস কাশি খুব দৃরুত সময়ে দূর করে থাকে।
নিচে সিরাপ গুলোর ব্যবহার বিধি এবং মূল্য তুলে ধরা হলো :
১। টোসপেল সিরাপ-(Tuspel): টোসপেল সিরাপটি যদি কারে এক টানা কাশি থাকে এবং গলার মধ্যে কফ জমে থাকে তা নিরাময় করে। তাছাড়া যাদে বুকে ব্যাথা গলা ব্যাথা রয়েছে তাদের জন্য এই টোসপেল সিরাপটি অত্যান্ত কার্যকরী।
এটি ২ চা চামচ করে দিনে ৩ বার খাওয়ার পর সেবন করতে হবে। এটি ১২ বছরের কম বয়সীদের জন্য নিষিদ্ধ। একটি ১০০ মিলি টোসপেল সিরাপের মূল্য ৮৫ টাকা।
২। ডেক্সট্রিম সিরাপ-(Dextrim): ডেক্সট্রিম সিরাপটি যাদের দীর্ঘ দিন ধরে গলা ব্যাথা, কাশি ও বুকে কফ জমে থাকে তাদের জন্য ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এই সিরাপটি খুব দ্রুত খুসখুসে কাশি দূর করে থাকে।
এই সিরাপটি ৬-১২ বছর বয়সীদের হাপ চা চামচ করে দিনে তিন বার এবং পূর্ণবয়স্কদের অর্থাৎ ১২ বছরের বেশি বয়সীদের ক্ষেত্রে এক চা চামচ করে দিনে তিন বার খাওয়ার পরে সেবন করতে হবে। এ সিরাপটি ৬ বছর বয়সের কম শিশুদের জন্য ব্যবহার নিষিদ্ধ। একটি ১০০ মিলি ডেক্সট্রিম সিরাপের মূল্য ১০০ টাকা।
৩। মধুভাস সিরাপ-(Maduvas): মধুভাস এটি সম্পূর্ণ একটি হারবাল সিরাপ। এই মধুভাস সিরাপটি যদাদের দীর্ঘ দিন ধরে শুষ্ক কাশি এবং খুসখুস কাশি রয়েছে এবং বুকে কফ জমে রয়েছে তাদের জন্য দেওয়া হয়ে থাকে।
তাছাড়া এই সিরাপটি ব্রংকাইটিসের চিকিৎসার জন্যও ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এই সিরাপটি হারবাল সিরাপ হওয়ার কারনে এর কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। এই সিরাপটি ২ চা চামচ করে দিনে তিন বেলা খাওয়ার পরে সেবন করতে হবে। একটি ১০০ মিলি মধুভাস সিরাপের মূল্য ৭০ টাকা।
৪। রিমোকফ সিরাপ-(Remocof): রিমোকফ এই সিরাপটিও সম্পূর্ণ হারবাল একটি সিরাপ। এই সিরাপটিও খুসখুসে বা শুষ্ক কাশি খুব দ্রুত সময়ে নিরাময় করে থাকে। এই সিরাপটি ব্যবহারে কোনো প্রকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই কারন এটি একটি হারবাল সিরাপ।
এই সিরাপটি ১২ বছরের কম বয়সীদের দিনে তিন বার এক চা চামচ করে সেবন করতে হবে এবং ১২ বছরের বেশি বয়সীদের ক্ষেত্রে দিনে তিন বার ২/৩ চা চামচ করে সেবন করতে হবে। এটি ঠান্ডা এবং সর্দিকাশিরও অনেক কার্যকরী একটি সিরাপ। একটি ১০০ মিলি রিমোকফ সিরাপের মূল্য ৬৫ টাকা।
৫। বাসক সিরাপ-(Basok): আমরা অনেকেই জানি যে ঠান্ডা লাগলে ঘরোয়া উপায়ে তা নিরাময় করার জন্য বাসক পাতার রস সেবন করা হয়। এই সিরাপটি সে বাসক পাতা দিয়ে তৈরি একটি হারবাল সিরাপ। এই সিরাপটি খুসখুসে কাশি দূর করতে খুবই কার্যকরী ভূমিকা রাখে। এটি হারবাল সিরাপ হওয়ার কারনে এর কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।
এই সিরাপটি ১২ বছরের কম বয়সীদের দিনে তিন বেলা খাওয়ার পরে দেড় চামচ করে সেবন করতে হবে এবং ১২ বছর বেশি বয়সীদের দুই চা চামচ করে দিনে তিনবার সেবন করতে হবে। এটি ১ বছরের বাচ্চাদেরও ১ চা চামচ করে দিনে দুবার সেবন করাতে পারেন। একটি ১০০ মিলি বাসক সিরাপের মূল্য ৬৫ টাকা।
৬। তুলসী সিরাপ-(Tulsi): এই সিরাপটি আমাদের সকলের পরিচিতি তুলসি পাতার রস দিয়ে তৈরি। এই তুলসী সিরাপটি সম্পূর্ন হারবাল একটি সিরাপ। এই সিরাপটিতে কোন প্রকার এলকোহল জাতীয় পদার্থ ব্যবহার করা হয়নি যার ফলে এটি ব্যবহারে কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। এই সিরাপটি ঠান্ডা সর্দি কাশি এবং দীর্ঘদিন ধরে থাকা খুসখুসে কাশি দূর করতে খুবই কার্যকরী ভূমিকা রাখে।
এই সিরাপটিতে কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া না থাকার ফলে ছোট বড় সকলেই সেবন করতে পারে।এটি ১২ বছরের কম বয়সীদের দিনে তিন বেলা খাওয়ার পরে এক চামচ করে সেবন করতে হবে এবং ১২ বছর বেশি বয়সীদের দুই চা চামচ করে দিনে তিনবার সেবন করতে হবে। একটি ১০০ মিলি তুলসী সিরাপের মূল্য ৬৫ টাকা।
৭। হানিভাস সিরাপ-(Honeybas): আনাদের দীর্ঘদিন ধরে থাকা খুসখুসে কাশি এবং বুকের কফ দূর করতে এই হানিভাস সিরাপটি সবচেয়ে বেশি কার্যকরী একটি ঔষধ। এই ঔষধটি সবচেয়ে বেশি কার্যকরী হওয়ার কারন এটি মধু এবং বাসক পাতার সমন্বয়ে তৈরি সম্পূর্ণ হারবাল একটি সিরাপ। এই সিরাপটিতেও কোনো প্রকার এলকোহল ব্যবহার না করার ফলে এতে কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।
এই সিরাপটিও ছোট বড় সকলেই সেবন করতে পারেন। এই সিরাপটি বাচ্চাদের হাপ চা চামচ করে দিনে তিন বার সেবন করাতে হবে। এবং প্রাপ্ত বয়স্কদের ক্ষেত্রে দু চা চামচ করে দিনে তিন বার সেবন করতে হবে। একটি ১০০ মিলি হানিভাস সিরাপের মূল্য ৮৫ টাকা।
৮। ডিভাস সিরাপ-(Devas): ডিভাস সিরাপটিও খুসখুসে কাশি দূর করতে খুবই কার্যকরী। এই সিরাপটি ডায়েবিটিস রোগিদের কাশির জন্য সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এটি সম্পূর্ণ একটি হারবাল সিরাপ। এই সিরাপটিতে কোনো প্রকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। এই সিরাপটি গলার কফ তরল করে দেয়, যাদের গলায় সরবঙ্গ রয়েছে কন্ঠস্বর ঠিকমতো আসছে না এবং শুষ্ক কাশি এবং খুসখুসে কাশির অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে দূর করে দেয়।
এই সিরাপটি কাশি দূর করতে সকলেই সেবন করতে পারেন। । এই সিরাপটি ১২ বছরের কম বয়সীদের দিনে তিন বেলা খাওয়ার পরে হাপ চামচ করে সেবন করতে হবে এবং ১২ বছর বেশি বয়সীদের ২/৩ চা চামচ করে দিনে তিনবার সেবন করতে হবে। একটি ১০০ মিলি ডিভাস সিরাপের মূল্য ৭০ টাকা।
এই সিরাপ গুলোর মূল্য স্থান বেধে ভিন্ন হতে পারে। ঠান্ডা কাশি হলে এই সিরাপ গুলো সেবন করতে পারেন। এই সিরাপ গুলোতে কোন প্রকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। তাই এই সিরাপগুলো খুসখুসে কাশি নিরাময় করতে সেবন করতে পারেন। এই পোস্টি বড় হলেও আশা করছি আপনাদের অনেক উপকারে আসবে।
গলার কফ দূর করার ট্যাবলেট এর নাম।
পোস্ট টি আপনাদের উপকারে আসলে অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন।
ধন্যবাদ সবাইকে।