শরীর ও স্বাস্থ্য

গলা ব্যথার ট্যাবলেট এর নাম বাংলাদেশ ।

আমাদের সকলের পরিচিতি একটি অসুখ ঠান্ডা এবং সর্দিকাশি। সাধারণত এই ঠান্ডা এবং সর্দিকাশি থেকেই গলা ব্যাথার উৎপত্তি হয়ে থাকে। অনেক সময় দেখা যায় এই ঠান্ডা থেকে আমাদের অনেকেরই টনসিল হয়ে যায়। গলা ব্যাথা শুরু হলে আমরা সবসময়ই তা নিরাময় করতে ঔষধ সেবন করে থাকি। তাই আমরা সকলেই জানতে চাই যে ভালো গলা ব্যথার ট্যাবলেট এর নাম বাংলাদেশ । এই পোস্টে গলা ব্যাথার সবচেয়ে কার্যকরী ট্যাবলেট এর নাম উল্লেখ করেছি। পুরো পোস্টটি পড়বেন আশা করছি আপনাদের উপকারে আসবে।

 

গলা ব্যথার ট্যাবলেট এর নাম বাংলাদেশ ।

 

গলা ব্যথার ট্যাবলেট এর নাম বাংলাদেশ
গলা ব্যথার ট্যাবলেট এর নাম বাংলাদেশ ।

গলা ব্যাথা এটি আমাদের মধ্যে অতি পরিচিত এবং একটি অসুখের নাম। তবে এই অসুখটি সাধারন হলেও গলা ব্যাথা যখন শুরু হয় তখন তা অনেক কষ্টকর হয়। গলায় ব্যাথার প্রভাবে কোন খাবারই ঠিক মতো গ্রহণ করা যায় না। এছাড়া এই গলা ব্যাথা থেকে আরও বড় বড় রোগ হতে পারে। তাই এটি আমাদের দ্রুত ঔষধ সেবনের মাধ্যমে নিরাময় করতে হবে। তাই আমরা অনেকেই জানতে চাই যে ভালো গলা ব্যথার ট্যাবলেট এর নাম বাংলাদেশ ।

 

নিচে গলা ব্যাথা নিরাময়ের কার্যকরী কয়েকটি ট্যাবলেট এর নাম উল্লেখ করা হলোঃ

১। জিরোডল-পি (Zerodol-P)

২। ট্রাইডোসিল-৫০০ (Tridosil-500)

৩। মক্সাসিল-৫০০ (Moxacil-500)

৪। সুয়ালেক্স (Sualex)

৫। রোলাক (Rolac)

৬। নাপা এক্সটেন্ড (Napa Extend)

৭। জিম্যাক্স-৫০০ (Zimax-500)

উপরে উল্লেখিত ট্যাবলেট গুলো দ্রুত গলা ব্যাথা নিরাময় করতে সবচেয়ে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। আপনার যদি গলা ব্যাথা থাকে এবং তা থেকে দ্রুত প্রতিকার চান তাহলে উল্লেখতি ট্যাবলেট গুলো নিঃসন্দেহে সেবন করতে পারেন।

 

উল্লেখিত ট্যাবলেট গুলোর দাম নিচে উল্লেখ করা হলোঃ

১। জিরোডল-পি (Zerodol-P) : জিরোডল-পি এর এক পাতা অর্থাৎ ১০ টি ট্যাবলেটের দাম ৫৫ টাকা।

২। ট্রাইডোসিল-৫০০ (Tridosil-500) : ট্রাইডোসিল-৫০০ এর এক পাতা অর্থাৎ ১০ টি ট্যাবলেটের দাম ৩৫ টাকা।

৩। মক্সাসিল-৫০০ (Moxacil-500) : মক্সাসিল এর এক পাতা অর্থাৎ ১০ টি ট্যাবলেটের দাম ৬৭ টাকা।

৪। সুয়ালেক্স (Sualex) : সুয়ালেক্স এর এক পাতা অর্থাৎ ১০ টি ট্যাবলেটের দাম ১৭ টাকা।

৫। রোলাক (Rolac) : রেলাক এর এক পাতা অর্থাৎ ১০ টি ট্যাবলেটের দাম ৯৫ টাকা।

৬। নাপা এক্সটেন্ড (Napa Extend) : নাপা এক্সটেন্ড এর এক পাতা অর্থাৎ ১০ টি ট্যাবলেটের দাম ১৫ টাকা।

৭। জিম্যাক্স-৫০০ (Zimax-500) : জিম্যাক্স  এর  এক পাতা অর্থাৎ ১০ টি ট্যাবলেটের দাম ৩৫০ টাকা। এটি একটি এন্টিবায়োটিক ট্যাবলেট।

উল্লেখিত ট্যাবলেট গুলোর দাম জায়গা বেধে কিছুটা কম বেশি হতে পারে।

 

কেন আমাদের গলা ব্যাথা করে ?

 

গলা ব্যথার ট্যাবলেট এর নাম বাংলাদেশ ।(2)
কেন আমাদের গলা ব্যাথা করে ?

আবহাওয়া দ্রুত পরিবর্তনের কারনে আমাদের ঠান্ডা সর্দি কাশি হয়। সাধারণত এই ঠান্ডা এবং ক্ষতিকারক জীবাণুর সংক্রমণের ফলে আমাদের গলায় ব্যাথা হয়ে থাকে। গলা ব্যাথা করলে এটি আমাদের শরীরে অস্বস্তি তৈরি করে। শুধু আবহাওয়ার কারনেই আমাদের ঠান্ডা সর্দি কাশি হয় না। বর্তমান সময়ে দেখা যায় অধিকাংশ মানুষেরই অধিক সময় এসির নিচে থাকার কারনে ঠান্ডা এবং সর্দিকাশি হয়।

আর তা থেকে শুরু হয় আমাদের অনাবরত গলা ব্যাথা। তাছাড়া ঠান্ডা সর্দি কাশির কারনে আমাদের গলায় টনসিল হয়ে যায় এবং একসময় এটি ফুলে যায় আর এই থেকে শুরু হয় আমাদের গলা ব্যাথা। অন্যান্য ভাইরাস জনিত কারনেও আমাদের গলা ব্যাথা হয়ে থাকে। আমাদের গলায় হাম এবং চিকেনপক্স  ভাইরাসের  এর  সংক্রমনের  ফলে  গলা  ব্যাথা  করতে  পারে । তাইগলা ব্যথা নিরাময় করার জন্য আমরা জানতে চাই গলা ব্যথার ট্যাবলেট এর নাম বাংলাদেশ ।

অনেক সময় ব্যাকটেরিয়া দ্বারা তৈরি হওয়া সংক্রমণের কারনেও গলা ব্যাথা হয়ে থাকে। টনসিল এবং ডিপথেরিয়া ব্যাকটেরিয়ার কারনে এই গলা ব্যাথা হয়ে থাকে। কারো যদি এলার্জি থাকে তবে এ এলার্জি থেকে গলা ব্যাথা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাছাড়া শুষ্ক আবহাওয়া বিশেষ করে শীতকালে দিনের বেলা গরম এবং রাতের বেলা তীব্র ঠান্ডা পরার কারনে শরীর খাপ খাওয়াতে না পেরে ঠান্ডা এবং গলা ব্যাথা হতে পারে।

তাছাড়া অধিক পরিমানে ধুমপান করা অতিরিক্ত মশলা জাতীয় খাবার খাওয়ার কারনে এ গলা ব্যাথা হয়ে থাকে। এই গলা ব্যাথা ঔষধ ছাড়া প্রাকৃতিক অনেক উপায়ে নিরাময় করা যায়। তার মধ্যে সবচেয়ে কার্যকরী উপায় হচ্ছে নিয়মিত লবন এবং গরম পানি দিয়ে গর্গর করা। নিচে প্রাকৃতিক উপায়ে গলা ব্যাথা দূর করার সবচেয়ে কার্যকরী উপায় তলে ধরা হয়েছে।

 

দ্রুত গলা ব্যাথা কমানোর ঘরোয়া উপায় কি ?

 

গলা ব্যথার ট্যাবলেট এর নাম বাংলাদেশ
দ্রুত গলা ব্যাথা কমানোর ঘরোয়া উপায় কি ?

আমাদের সাধারণত ঠান্ডা লাগা থেকেই গলা ব্যাথা শুরু হয়। গলা ব্যাথা শুরু হলে আমরা তা বিভিন্ন ঔষধ সেবন করে নিরাময় করতে চাই। জানতে চাই যে ভালো গলা ব্যথার ট্যাবলেট এর নাম বাংলাদেশ । কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না যে কিছু ঘরোয়া উপায় অবলম্বন করে খুব সহজেই আমাদের গলার ব্যাথা নিরাময় করতে পারি।

 

দ্রুত গলা ব্যাথা কমানোর ঘরোয়া কিছু কার্যকরী উপায় নিচে উল্লেখ করা হলোঃ

★ তুলসি পাতা ও আদাঃ তুলসি পাতা ও আদা সেবনের মাধ্যমে গলা ব্যাথা খুব সহজেই নিরাময় করা যায়। এক টুকরো আাদা এবং কয়েকটি তুলসি পাতা এক গ্লাস পরিমান পানির মধ্যে দিয়ে তা ১৫ থেকে ২০ মিনিট গরম করে নিতে হবে। এর পর তুলে নিতে হবে এবং খাওয়ার উপযোগী ঠান্ডা হলে তা সেবন করতে হবে। এটি নিয়মিত খাওয়ার আগে সকালে এবং সন্ধায় সেবন করতে হবে। এভাবে নিয়মিত সেবন করলে ২-৩ দিনের মধ্যে গলা ব্যাথা নিরাময় হয়ে যাবে।

★ কিসমিসঃ নিয়মিত কিসমিস সেবনের মাধ্যমে কঠিন গলা ব্যাথা নিরাময় করা যায়। কিসমিস গলা ব্যাথা নিরাময় করতে অনেক কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। আপনার গলা ব্যাথা দেখা দিলে দিনের যেকোনো সময়ই কিসমিস চিবাতে পারেন। আপনি নিয়মিত কিসমিস সেবন করলে ১-২ দিনের মধ্যে গলা ব্যাথা নিরাময় হয়ে যাবে। অনেক সময় দেখা যায় ডাক্তাররাও গলা ব্যাথা নিরাময় করার জন্য কিসমিস সেবনের কথা বলে থাকে। এটি একটি কার্যকরী উপায়।

★ লেবুর রস ও মধুঃ লেবুর রস এবং মধু গলা ব্যাথা দূর করতে অনেক কার্যকরী ভূমিকা রাখে। এটি এক গ্লাস পরিমান গরম পানির সাথে কয়েক চামচ লেবুর রস এবং এক চা চামচ মধু মিশিয়ে সেবন করতে পারেন। এটি প্রতিদিন সকাল বেলা খালি পেটে খেলে গলা ব্যাথা রোধ করতে সবচেয়ে বেশি কার্যকরী হয়ে থাকে। এটি নিয়মিত সেবনের ফলে গলা ব্যাথা নিরাময় হয়ে যাবে।

দ্রুত গলা ব্যাথা কমানোর জন্য আপনারা উল্লেখিত তিনটি ঘরোয়া পদ্ধতিতে চিকিৎসা নিতে পারেন। এটি দ্রুত গলা ব্যাথা কমাতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে।

দ্রুত গলা ব্যাথা কমানোর ওষুধ এর নাম।

 

গলা ব্যথার ট্যাবলেট এর নাম বাংলাদেশ
দ্রুত গলা ব্যাথা কমানোর ওষুধ এর নাম।

গলা ব্যাথা আমাদের সকলের উপরই একটি ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। গলা ব্যাথার কারনে আমরা ঠিকমতো খেতে পারি না। গলা ব্যাথার কারনে আমাদের গলার নিচে ফুলে যায়। গলা ব্যাথা একটি সাধারন অসুখ হলেও তা থেকে অনেক ক্ষতিকর রোগের উৎপত্তি হতে পারে।

তাই গলা ব্যাথা হলে তা অবহেলা করা যাবে না। যখন আমাদের গলা ব্যাথা শুরু হবে তখন এটি থেকে আমাদের দ্রুত ত্রান পাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। আমরা এই গলা ব্যাথা দ্রুত নিরাময় করার জন্য গলা ব্যাথার ঔষধ সম্পর্কে জানতে চাই। এবং জানতে চাই ভালো গলা ব্যথার ট্যাবলেট এর নাম বাংলাদেশ সম্পর্কে।

 

গলা ব্যাথা নিরাময় করার কার্যকরী কয়েকটি ওষুধের নাম নিচে উল্লেখ করা হলোঃ

১। ডেক্সট্রিম (Dextrim)

2। ডক্সিন (Doxin)

৩। টসপেল (Tospel)

৪। প্যারাসিটামল রেনোভা (Paracetamol Renova)

৫। ডক্সিসাইক্লিন (Doxycycline)

এই ঔষুধ গুলো সকল ফার্মেসীতেই পেয়ে যাবেন। এই ঔষুধ গুলো আমাদের গলা ব্যাথা দ্রত কমিয়ে দেয়। এবং এই ঔষুধ গুলি নিয়মিত ২ থেকে ৩ দিন ব্যবহার করলে গলা ব্যথা নিরাময় হয়ে যায়।

এই ঔষুধ গুলো গলা ব্যাথার পাশাপাশি ঠান্ডা সর্দি কাশি এবং বুকের কফ জমাট বাঁধা থাকলে তা নিরাময় করতে ব্যবহার করা হয়। তাই উল্লেখিত ঔষধ গুলোর একটি সেবন করলে একসাথে কয়েকটি অসুখ থেকে নিরাময় পাওয়া যাবে। তাই আপনাদের ঠান্ডা, সর্দি কাশি, বুকের কফ জমাট বাঁধা এবং গলা ব্যাথা হলে উপরে উল্লেখিত যেকোনো একটি ঔষধ সেবন করতে পারেন।

 

ঢোক গিলতে সমস্যা হয় কেন ?

 

ঢোক গিলতে সমস্যা হয় কেন ?

আমাদের অনেকেরই দেখা যায় যে খাবার গিলা এবং ঢোক গিলার সময় অনেক ব্যাথা করে যাকে বলা হয় একালেশিয়া কার্ডিয়া। এটি হওয়ার ফলে আমরা ঠিক মতো খাবার খেতে এবং ঢোক গিলতে পারি না। খাবার খাওয়ার সময় মনে হয় খাবার গলার মধ্যে আটকে আছে এবং মনে হয় আমাদের খাদ্যনালী দিয়ে খাবার নিচে নামছে না।এমন হওয়ার ফলে আমাদের খাদ্যনালীর নিচে এবং বুকের মধ্যে ব্যথা অনুভব হয়।

যা আমাদেরকে অনেক অস্বস্তিতে ফেলে।স্বাভাবিক অবস্থায় আমরা যখন খাদ্য গ্রহন করি তখন আমাদের খাদ্যনালীর নিচে যে গেট ওয়েটি রয়েছে তা একটি সিগনালের মাধ্যমে খুলে যায়। এর ফলে খাবারটি খুব সহজেই আমাদের পাকস্থলীতে এসে জমা হয়।যখন আমাদের একালেশিয়া কার্ডিয়া হয় তখন খাদ্যনালীর নিচে যে গেট ওয়ে আছে তার মধ্যে সিগনাল না পৌঁছানোর কারনে স্বাভাবিক সময়ে খুলে না।

একালেশিয়া কার্ডিয়া হলে খাদ্যনালীর নিচের গেটওয়েটি শক্ত এবং টইট হয়ে যায়।এর কারন হলো আমাদের দেহের মধ্যে খাদ্যনালীতে যে স্নায়ুযন্ত্র রয়েয়ে তা একালেশিয়া কার্ডিয়া হওয়ার ফলে নষ্ট হয়ে যায়।এটি আরোও নানা কারনে নষ্ট হয়ে যেতে পারে বিশেষজ্ঞরা বলেন এটি ক্ষতিকর ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণের ফলেও নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

স্নায়ুতন্ত্র নষ্ট হয়ে যাওয়ার ফলে আমরা খাবার ঢোক গিলার পরে স্নায়ুতন্ত্র খাদ্যনালীর নিচে থাকা গেটওয়েতে কোন সিগনাল পাঠাতে পারে না। যার ফলে গেটওয়েটি যথা সময়ে খুলতে পারে না। এ কারনে খাদ্য নালীর মধ্যে খাবারজমা হয়ে থাকে এবং খাদ্যনালী ফুলে যায়। যার ফলে আমাদের বুকে ব্যাথা বুক ভারী ভারী মনে হয়। কয়েকদিন সময় এমন চলতে থাকার ফলে আমাদের ঢোক গিলতে সমস্যা হয় এবং গলায় ব্যাথা হয়ে থাকে।

 

ঢোক গিলতে গলা ব্যথার ওষুধ এর নাম।

 

ঢোক গিলতে গলা ব্যথার ওষুধ এর নাম।

আমরা উপরে জেনেছি যে আমাদের গলার মধ্যে একালেশিয়া কার্ডিয়া হওয়ার ফলে ঢোক গিলতে না পারা, গলা ব্যাথা এবং গলায় খাবার আটকে থাকার মতো সমস্যা হয়ে থাকে। এটি খাবারের এসিড নিচে না নামার ফলেও হয়ে থাকে যাকে বলা হয় রিফ্লাক্স। এই একালেশিয়া কার্ডিয়া এবং রিফ্লাক্স হলে আমাদের অনেক অস্বস্তির মধ্যে পরতে হয়।

এটি হলে আমাদের গলায় ঢোক গিলার সময় তীব্র ব্যাথা অনুভব হয় যা অনেক বেদনাদায়ক। একালেশিয়া কার্ডিয়া অনেক অস্বস্তিমূলক হওয়ার কারনে এটি হওয়ার সাথে সাথে এর থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য বিভিন্ন ঔষধ সেবন করতে চাই। তবে একালেশিয়া কার্ডিয়া এবং রিফ্লাক্স রোগটি কতো গুলো ঘরোয়া উপায়ের মাধ্যমে নিরাময় করা য়ায়।

 

নিচে ঘরোয়া উপায়ে ঢোক গিলতে ব্যাথা করা নিরাময় করার কয়েকটি পদ্ধতি তুলে ধরা হলোঃ

গরম পানি ও লবনঃ নিয়মিত গরম পানি ও লবন ব্যবহার করে আমরা ঢোক গিলতে ব্যাথা হওয়া রোধ করতে পারি। প্রথমে এক গ্লাস পরিমান পানি নিতে হবে এবং তার মধ্যে পরিমান মতো লবন দিয়ে তা মিশিয়ে নিতে হবে। তার পর এই লবন এবং গরম পানি দিয়ে গার্গেল করতে হবে। এটি আপনি দিনে ৩ থেকে ৪ বার করতে পারেন। এটি নিয়মিত করতে থাকলে ঢোক গিলতে ব্যাথা এবং গলা ব্যাথা নিরাময় হয়ে যাবে।

রসুনঃ আমরা সকলেই জানি যে রসুন আমাদের জন্য অনেক উপকারী একটি খাবার এবং একটি প্রাকৃতিক ঔষধ। এতে রয়েছে নানা রোগের বহু গুন সম্পূর্ণ প্রতিকার। একটি ছোট রসুন সরিষার তেল দিয়ে ভেজে নিবেন তার পর সেবন করতে পারেন। তাছাড়া আপনি চাইলে এটি কাঁচাও সেবন করতে পারেন। এটি গলা ব্যাথা এবং ঢোক গিলতে ব্যাথা নিরাময় করতে অনেক কার্যকরী ভূমিকা রাখে।

মধু ও পানিঃ গলা ব্যাথা এবং ঠান্ডা দূর করতে মধু অনেক উপকারী একটি প্রতি নাশক। গরম পানিতে মধু মিশিয়ে নিয়মিত সেবন করলে ২ থেকে ৩ দিনের মধ্যে গলা ব্যাথা নিরাময় হয়ে যাবে। এটি সেবন করার জন্য এক গ্লাস পরিমান গরম পানি নিতে হবে এবং পানিরসাথে ২ থেকে ৩ চামচ মধু দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে তা সেবন করুন।

আদা এবং চাঃ আমরা জানি যে আদা শুষ্ক কাশি ঠান্ডা দূর করে থাকে। তবে এর পাশাপাশি এটি গলা ব্যাথা দূর করতেও অনেক কার্যকরী ভূমিকা রাখে। এটি সেবন করার জন্য এক কাপ রং চা এর মধ্যে একটু বেশি পরিমানে আাদা দিয়ে সেবন করুন। এটি নিয়মিত সকালে এবং সন্ধায় সেবন করলে ঢোক গিলতে ব্যাথা এবং গলা ব্যাথা নিরাময় হয়ে যাবে।

তুলসি পাতাঃ তুলসি পাতা গলার ব্যাথা, ঠান্ডা এবং সর্দিকাশি নিরাময় করতে খুবই কার্যকরী ভূমিকা রাখে। এটি সেবন করতে এক বা দুই গ্লাস পরিমান পানি নিতে হবে এর পর ৫ থেকে ৭ টি তুলসি পাতা সাথে কয়েক টুকরো আদা পানিতে মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর ১০/১৫ মিনিট ফুটিয়ে বা গরম করে নিতে হবে। গরম করা হয়ে যাবার পর পানযোগ্য ঠান্ডা হলে সেবন করতে হবে। এটি সকাল এবং সন্ধ্যা দুবেলাতেই করতে পারবেন।

উল্লেখিত প্রতি নাশক গুলো গলা ব্যাথা এবং ঢোক গিলতে ব্যাথা নিরা ময় করতে খুবই কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। তাই আপনাদের গলা ব্যাথা এবং ঢোক গিলতে ব্যাথা হলে এই প্রতি নাশক গুলো সেবন করতে পারেন। এতে করে খুব সহজেই ঘরোয়া উপায়ে আপনাদের রোগটি নিরা ময় হয়ে যাবে।

 

গলার কফ দূর করার ট্যাবলেট এর নাম।

 

পোস্ট উপকারে আসলে অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন।

 

ধন্যবাদ সবাইকে।

One thought on “গলা ব্যথার ট্যাবলেট এর নাম বাংলাদেশ ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *