এলার্জি জাতীয় খাবার এর নাম

0
2
এলার্জি জাতীয় খাবার
এলার্জি জাতীয় খাবার এর নাম

আমরা এলার্জি রোগটি সঙ্গে বেশ পরিচিত। আমাদের বিভিন্ন রকম কারণে এলার্জি হয়ে থাকে। আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করতে চলেছি এলার্জি জাতীয় খাবার গুলো সম্পর্কে। যে সকল খাবারগুলো খেলে আমাদের অ্যালার্জি সৃষ্টি হয় সেই সকল খাবার গুলো সম্পর্কে আমাদের সকলের জানা উচিত।

আপনি যদি অ্যালার্জি রোগে ভুগে থাকেন আর আপনি যদি এই সম্পর্কে জানতে চান তবে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সুতরাং মনোযোগ সহকারে পুরো আর্টিকেলটি পড়ুন। ইনশাআল্লাহ আপনারা বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আজকের আর্টিকেল থেকে পেয়ে যাবেন। তো চলুন দেরি না করে জেনে আসি এলার্জি জাতীয় খাবার গুলো সম্পর্কে।

এলার্জি জাতীয় খাবার

 

এলার্জি জাতীয় খাবার
এলার্জি জাতীয় খাবার

আমরা যে সকল খাবারগুলো খায় সেই সকল খাবারগুলোতে যদি অ্যালার্জি থাকে আমাদের তবে এর প্রতিক্রিয়া বা লক্ষণ গুলি হালকা থেকে আস্তে আস্তে গুরুতর হতে পারে। এতে করে আমাদের চুলকানির সৃষ্টি হয়, যিহোক বা ফুলেও যাই, বমি বমি ভাব হয় বা বমি হয়, ডায়রিয়া, শ্বাসকষ্ট, রক্তচাপ কমে যাওয়া ইত্যাদির কোন সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। এটা সাধারণত খাবার খাবার পরে কয়েক মিনিটের মধ্যে বা কয়েক ঘন্টার মধ্যে দেখা যায়। মানে এলার্জির লক্ষণগুলো শুরু হয়।

যখন এলার্জির লক্ষণগুলো গুরুতর হয় তখন তাকে এনাফ্লাক্সিস বলা হয়। এছাড়াও আরো অন্যান্য খাবারগুলোতে ও অ্যালার্জি হতে পারে। যেমন, গরুর দুধ, চিনাবাদাম, ডিম, গাছ বাদাম, গম, বিভিন্ন ফল ইত্যাদি। আজকের আর্টিকেলটি যেহেতু সাজানো হয়েছে এলার্জি জাতীয় খাবার নিয়ে। সুতরাং পুরো কনটেন্ট জুড়ে যদি আপনারা আমাদের সঙ্গে থাকেন অবশ্যই এই বিষয়গুলো সম্পর্কে সমস্ত তথ্য জানতে পারবেন। আরো অন্যান্য তথ্যগুলো নিম্নে আলোচনা করা হলো।

এলার্জি জাতীয় খাবার গুলোর তালিকা

আমরা অনেকেই রয়েছি যারা যে কোন খাবার খেতে পারে না। কারণ কিছু কিছু খাবার খেলে আমাদের এলার্জি সৃষ্টি হয় যে কারণে অনেক সতর্কতা অবলম্বন করে খাবার খেতে হয়। যে কোন জায়গায় বা যে কোন স্থানে আমরা হুটহাট করে খাবার খেতে পারি না শুধুমাত্র এলার্জির কারণে। যে সকল খাবারগুলোতে অ্যালার্জি রয়েছে তা ধাপে ধাপে নিম্নে বিস্তারিত বর্ণনা সহ আলোচনা করা হলো।

দুধ

দুধ খুবই পুষ্টিকর একটি খাবার। যে কারণে আমরা প্রায় সময় দুধ খেয়ে থাকি। তবে যাদের অ্যালার্জি রয়েছে তারা দুধ খেতে পারি না। বিশেষ করে গরুর দুধে এলার্জি থাকে। তবে এটা সবার ক্ষেত্রে হয় না যাদের অ্যালার্জি রয়েছে তারা গরুর দুধ খেতে পারে না। সাধারণত তিন বছরের কম বয়সী যে সকল শিশু রয়েছে তাদের মধ্যে আড়াই শতাংশ শিশুর গরুর দুধে এলার্জি রয়েছে। যাদের গরুর দুধে এলার্জি রয়েছে তারা গরুর দুধ থেকে দূরে থাকবেন।

গম

অনেকেরই গমের আটা, বা পাউরুটি, অথবা গম দিয়ে তৈরি হতো কোন জিনিস খেলে অ্যালার্জি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বিভিন্ন জনের বিভিন্ন রকম খাদ্যে এলার্জি থাকে। অনেকেরই গমে এনার্জি থাকে। আপনাদের যাদের এই সমস্ত খাবারগুলোতে এলার্জি রয়েছে তারা এই সকল খাবারগুলো থেকে দূরে থাকবেন।

ডিম

ডিম খুবই পুষ্টিকর এবং শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় একটি খাবার। তবে অনেক সময় দেখতে পাই ডিম খেলেও আমাদের এলার্জি সৃষ্টি হয়। অধিকাংশ শিশুদেরই ডিমে এলার্জি থেকে থাকে। ডিমের সাদা অংশ থেকেই মূলত এলার্জি সৃষ্টি হয়ে থাকে। আপনারা যারা এলার্জিতে ভোগেন তারা মূলত ডিমের সাদা অংশ বাদে খেতে পারবেন। তবে যেহেতু আপনার ডিমে অ্যালার্জি রয়েছে সুতরাং ডিম না খাওয়াই উত্তম।

পড়ুন:

এলার্জি দূর করার উপায়

এলার্জি চুলকানি দূর করার উপায়

এলার্জি ঔষধ এর নাম

ফল ও সবজি

আমরা জীবন পরিচালনা করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ফল ও সবজি খেয়ে থাকি। অ্যালার্জির কারণে আমরা বেশ কিছু ফল খেতে পারি না। যে সকল ফলগুলো বা সবজি খেলে এলার্জি বৃদ্ধি পায় যে কারণে আমরা এই সকল সবজি এবং ফলগুলো থেকে দূরে থাকি। যে সকল ফল এবং সবজিগুলোতে এলার্জি বৃদ্ধি পায় তা হল। বেগুন, গাজর, টমেটো, কলা, ডাল ইত্যাদি।

মাছ

আমরা অনেকেই এলার্জির কারণে মাছ খেতে পারি না। এলার্জি থাকা সত্ত্বেও যদি আমরা এই সকল খাদ্যগুলো গ্রহণ করে থাকে তবে আমাদের বেশ সমস্যা সৃষ্টি হয়। এলার্জি সব সময় গুরুতর থাকে না তবে নিয়ম না মানলে এটি গুরুতর হয়ে যায়। তখন আমাদের অনেক বেশি পরিমাণ সমস্যা দেখা যায়। যাদের মাছে এলার্জি রয়েছে তারা মাছ খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। তাহলে এলার্জি নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

গাছ বাদাম

আমরা প্রায় সকলেই বাদাম খেতে পছন্দ করে থাকি। কিন্তু অনেকেরই বাদামে ও অ্যালার্জি রয়েছে। যে সকল বাদামগুলোতে অ্যালার্জি রয়েছে তা হল, কাজু, পেস্তা, আখরোট, আমন্ড, ব্রাজিল নাট ইত্যাদি ধরনের গাছ বাদামে। তবে এই সকল বাদামগুলোতে এলার্জি থাকা মানে এই নয় যে অন্যান্য বাদামগুলোতে ও এলার্জি সৃষ্টি হবে। আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন আপনার এলার্জি সৃষ্টি হচ্ছে কোন খাদ্যের কারণে। যে খাদ্যের কারণে আপনার এলার্জি সৃষ্টি হয় সে সকল খাদ্য গুলো থেকে দূরে থাকবেন।

বেগুন

বেগুন ও একটি জাতীয় খাবার। যাদের বেগুনে এলার্জি রয়েছে তারা বেগুন খেতে পারেন না। অনেক সময় আমরা গুরুত্ব না দিয়ে যে সকল খাবারগুলোতে এলার্জি রয়েছে সেই সকল খাবার গুলো খেয়ে থাকি। কিছুক্ষণ পরে আমরা বুঝতে পারি আমরা এনার্জিজনিত খাবার গুলো খেয়ে ঠিক করি নাই। কিন্তু তখন আমাদের শরীরের চুলকানি সহ আরো অন্যান্য সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে। তাই পূর্ব থেকেই আমাদের সকলের সতর্ক হওয়া উচিত।

খোলসযুক্ত মাছ

বিভিন্ন ধরনের মাছ আমরা খেয়ে থাকি। এর মধ্যে অনেক ধরনের মাঝে অ্যালার্জি রয়েছে অর্থাৎ অনেক ধরনের মাছ খেলে এলার্জি সৃষ্টি হতে পারে। যেমন, চিংড়ি, কাকড়া ইত্যাদি। মাছ এ যাদের অ্যালার্জি রয়েছে তারা এই সকল খাদ্যগুলো থেকে দূরে থাকবেন। কোন প্রকার রোগ নিয়ে কখনো অবহেলা করবেন না। না হলে পরবর্তী সময়ে বড় ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হবেন।

বোয়াল মাছ

অতি সুস্বাদু মজাদার এই মাছটি কে না খেতে ভালোবাসে ? তবে এ মাছটিতে রয়েছে এলার্জি, যদিও এই মাছটি আগের তুলনায় বেশি পরিমাণে পাওয়া যায় না , তারপরও যাদের অ্যালার্জিজনিত সমস্যা রয়েছে তারা বোয়াল মাছ খাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।

সালফাইট

যেকোনো ধরনের খাবারে রং ধরাতে অথবা খাবারটি বেশিক্ষণ তাজা রাখার জন্য এই কেমিক্যাল টি ব্যবহার করা হয়। যা শরীরের এলার্জি সৃষ্টি করতে পারে। তাই বাজারে থেকে সবজি অথবা ফলমূল কেনার আগে সতর্ক থাকতে হবে।

সয়া

সোয়া জাতীয় যে সকল খাবার রয়েছে সেগুলো থেকে মূলত ছোট বাচ্চাদের অ্যালার্জি হবার সম্ভাবনা থাকে। এক্ষেত্রে তিন থেকে পাঁচ বছরের বাচ্চাদের জাতীয় খাবারগুলো থেকে বিরত রাখা উচিত। যে সকল ছোট বাচ্চাদের এই খাবারগুলো দেওয়া হয় উক্ত খাবার গুলোর মাধ্যমেই তাদের এলার্জির সৃষ্টি হয় এবং পরবর্তীতে তা জটিল সমস্যায় রূপান্তর হতে পারে।

এলার্জি জাতীয় খাবার নিয়ে সতর্কতা

এলার্জি বিষয়ক বিভিন্ন খাবারকে আমরা খুব বেশি ভয়ানক হিসেবে ভাবি না, তবে এলার্জির মধ্যেও বিভিন্ন ধরনের প্রকারভেদ রয়েছে, এলার্জির এমন কিছু প্রকারভেদ রয়েছে যে আপনাকে অনেক বেশি চিন্তায় ফেলে দিতে পারে। তাই আপনার যদি অ্যালার্জি জনিত সমস্যা থেকে থাকে তাহলে অবশ্যই উপরে দেখানো খাবারগুলো থেকে বিরত থাকতে হবে।

অনেকেই ভেবে থাকেন যে শুধুমাত্র খাবারের মাধ্যমেই এলার্জি হতে পারে, কিন্তু বাস্তবে শুধু খাবার নয় পরিবেশের বিভিন্ন উপাদান থেকেও এলার্জি সৃষ্টি হতে পারে। যেমন গাছে অথবা বাগানে প্রয়োগ করা কীটনাশক, শহরের রাস্তায় খেলার মাঠে পড়ে থাকা ধুলাবালি থেকেও এলার্জির সৃষ্টি হতে পারে। তাই উক্ত জায়গাগুলোতে সচেতন ভাবে চলাফেরা করার জন্য সচেতন করা হচ্ছে।

সুস্থতা থেকে আরও পড়ুন

অ্যালার্জি

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here