ই ক্যাপ 400 এর উপকারিতা কি ?

2
4
ই ক্যাপ 400 এর উপকারিতা
ই ক্যাপ 400 এর উপকারিতা কি ?

ই ক্যাপ ৪০০ ট্যাবলেটটি হলো ভিটামিন-ই এর একটি ট্যাবলেট। ই ক্যাপ ৪০০ ট্যাবলেটটি মূলত ব্যবহার করা হয় আমাদের দেহে ভিটামিন-ই এর ঘাটতি দেখা দিলে। তাছাড়াও ভিটামিন-ই এর আরও বেশ কয়েকটি উপকারিতা রয়েছে। সাধারণত দেহে ভিটামিন-ই এর অভাব দেখা দিলে আমরা এই ট্যাবলেটটি সেবন করে থাকি।তাই এই ট্যাবলেটটি সেবন করার আগে ই ক্যাপ 400 এর উপকারিতা কি এবং অপকারিতা কি সে সম্পর্কে জানতে চাই। এই পোস্টে ই ক্যাপ 400 এর উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। পুরো পোস্ট টি পড়বেন আশা করছি আপনাদের উপকারে আসবে।

 

ই ক্যাপ 400 এর উপকারিতা কি ?

 

ই ক্যাপ 400 এর উপকারিতা
ই ক্যাপ 400 এর উপকারিতা কি ?

ই ক্যাপ 400 যা মূলত ভিটামিন-ই সমৃদ্ধ একটি ট্যাবলেট। ভিটামিন-ই ক্যাপ আমাদের দেহের জন্য শক্তিশালী একটি এন্টি অক্সিডেন্ট। ভিটামিন-ই এর অভাব জনিত কারন এবং তা পূরনের জন্য আমরা ই ক্যাপ 400 ব্যবহার করে থাকি। তবে ভিটামিন-ই ক্যাপসুলটি দেহের অরও বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কাজে ভূমিকা রাখে। তাই ই ক্যাপ ৪০০ ট্যাবলেটটি সেবন করার আগে অনেকেই জানতে চান যে ই ক্যাপ 400 এর উপকারিতা কি।

 

নিচে ই ক্যাপ 400 এর ১০ টি উপকারিতা তুলে ধরা হলো :

 

১। শরীর ব্যাথা

যাদের বাদ ব্যাথা জনিত সমস্যা রয়েছে এবং হটুতে ব্যাথা, মাজায় ব্যাথা, হাতের কবজিতে ব্যাথা এবং শরীরের বিভিন্ন জয়েন্টগুলিতে ব্যাথা ইত্যাদি সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ই ক্যাপ ৪০০ ক্যাপসুল সেবন করতে পারেন। এটি এই ব্যাথা গুলো নিরাময় করতে খুবই কার্যকরী ভূমিকা রাখে।

২। স্নায়ুবিক দূর্বলতা

যাদের স্নায়ুবিক দূর্বলতা রয়েছে তাদের জন্য ই ক্যাপ ৪০০ অত্যান্ত কার্যকরী একটি ক্যাপসুল। আমাদের শরিরে যখন ভিটামিন-ই এর ঘাটতি হয় তখন শরীরে স্নায়ুবিক দূর্বলতা তৈরি হয়ে থাকে। তাই শরীরের স্নায়ুবিক ক্ষমতাকে পুনরায় সবল করার জন্য ই ক্যাপ ৪০০ সেবন করতে পারেন।

৩। প্রজনন ক্ষমতা

দেহে ভিটামিন-ই এর ঘাটতি হলে পুরুষের প্রজনন ক্ষমতা কমে যায়।তাই পুরুষের প্রজনন ক্ষমতা স্বাভাবিক করার জন্য ভিটামিন-ই জাতীয় খাবার বেশি বেশি গ্রহন করতে হবে। যদি দেখা যায় ভিটামিন-ই জাতীয় খাবার গুলো শরীরে পর্যাপ্ত পরিমান ভিটামিন-ই এর যোগান দিতে ব্যার্থ হচ্ছে তখন তা পূরন করার জন্য ই ক্যাপ ৪০০ গ্রহন করতে হবে। এটি কয়েকদিন নিয়মিত সেবনের ফলে প্রজনন ক্ষমতা স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

৪। দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি

বয়সের কিংবা অন্যান্য কারনে যাদের দৃষ্টি শক্তি দিন দিন হ্রাস হতে শুরু করেছে, যারা কম দেখতে পান বা রতে দেখতে পান না তাদের জন্য ই ক্যাপ ৪০০ অত্যান্ত কার্যকরী একটি ক্যাপসুল। যদি দেহে পর্যাপ্ত ভিটামিন-ই এর ঘাটতি পূরন হয় তবে দৃষ্টি জনিত সকল সমস্যা দূর হয়ে যাবে। তাই দৃষ্টি শক্তি বৃদ্ধি করতে ই ক্যাপ কার্যকরী ভূমিকা রাখে।

৫। মেয়েদের ঋতুস্রাব

মহিলাদের যাদের ঋতুস্রাব জনিত সমস্যা রয়েছে যেনম: ঋতুস্রাবের সময় বা পরে তল পেটে ব্যাথা করা। যাদের ঋতুস্রাব ঠিক মতো হয় না বা ঋতুস্রাব স্বাভাবিক নয় তারা ই ক্যাপ ৪০০ ব্যবহার করতে পারেন। ই ক্যাপ ৪০০ ক্যাপসুলটি নিয়মিত ব্যবহারের ফলে ঋতুস্রাবের কারনে তল পেটে ব্যাথা করা এবং ঋতুস্রাব ঠিক সময়ে না হওয়া এই সমস্যা গুলো থেকে খুব সহজেই মুক্তি পাবেন।

৬। হৃদ রোগ

ভিটামিন-ই এর অভাবে আমাদের দেহে হৃদ রোগ হয়ে থাকে। হৃদ রোগ প্রতিরোধ করার জন্য আমাদের দেহে প্রয়োজনীয় পরিমানে ভিটামিন-ই সরবারহ করতে ই ক্যাপ ৪০০ কার্যকরী ভূমিকা রাখে। তাছাড়া ভিটামিন-ই স্টোক এবং হার্ট এট্যাক থেকে রক্ষা করে থাকে এবং হার্টকে সুস্থ সবল রাখে । তাই হার্টকে সুস্থ সবল রাখতে ভিটামিন-ই ক্যাপ ৪০০ সেবন করতে পারেন।

৭। দেহে এন্টিঅক্সিডেন্ট

ভিটামিন-ই ক্যাপ ৪০০ আমাদের শরীরে এন্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে থাকে। যাদের দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম এবং দেহে সবসময় একটা ক্লান্ত ক্লান্ত ভাব থাকে তাদের ভিটামিন-ই ক্যাপ ৪০০ সেবন করলে এই সমস্যা গুলো দূর হয়ে যাবে। তাছাড়া ই ক্যাপ ৪০০ আমাদের দেহে রক্ত জমাট বাঁধা দূর করে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে।

৮। ত্বকের উজ্জ্বলতা

ই ক্যাপ ৪০০ আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা এবং মুখের ব্রন দূর করে থাকে। আমাদের ত্বকে যে ছোপ ছোপ কালো দাগ রয়েছে তা দূর করার জন্য নিয়মিত পরিমান মাফিক ভিটামিন ই ক্যাপসুল ৪০০ সেবন করতে পারেন। এটি নিয়মিত সেবনে কালো  দাগ  দূর  হয়ে  ত্বকে  উজ্জ্বল  ভাব  এনে দিবে। এটি নিয়মিত  ব্যবহারে  মুখের  ব্রন  এবং  ব্রনে  ফলে  যে  দাগ হয় তা  দূর  হয়ে  থাকে।

৯। চুল পড়া

যাদের মাথার চুল পাতলা চুল পড়া এই ধরনের সমস্যা রয়েছে তারা ভিটামিন-ই ক্যাপ ৪০০ ব্যবহার করতে পারেন। ভিটামিন-ই ক্যাপ ৪০০ চুল পড়া রোধ করে এবং হালকা নতুন চুল গজানোতে সাহায্য করে থাকে। এটি ব্যবহারে চুলে সবসময় একটা ভিজা ভিজা ভাব থাকে যার ফলে চুল অনেক কালো এবং স্মুথ থাকে। ই ক্যাপ 400 এটি চুলে ব্যবহারে চুলের খুসকিও দূর হয়ে থাকে।

১০। মেজাজের পরিবর্তন

বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে স্নায়ুর অবক্ষয়ের কারনে আমাদের মেজাজের পরিবর্তন হয়ে থাকে যার ফলে আমাদের মেজাজ অনেক খিট খিটে হয়ে যায় কোন কাজে ঠিক মতো মনোযোগ দেওয়া যায় না ইত্যাদি সমস্যা গুলো মূলত ভিটামিন-ই এর অভাবে হয়ে থাকে। এটি দূর করতে নিয়মিত পরিমান মাফিক ই ক্যাপ ৪০০ এর ব্যবহার খুবই কার্যকরী ভূমিকা রাখে।

ই ক্যাপ ৪০০ সেবন এবং ব্যবহারের ফলে উল্লেখিত উপকারিতা গুলো ছাড়াও আরও অনেক উপকারিতা রয়েছে। যাদের দেহে উল্লেখ্য জনিত কোন সমস্যা থেকে থাকে তারা ভিটামিন-ই ক্যাপ ৪০০ সেবন এবং ব্যবহার করতে পারেন।

 

ই ক্যাপ ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম কি ?

 

ই ক্যাপ 400 এর উপকারিতা
ই ক্যাপ ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম কি ?

আমাদের দেহে ভিটামিন-ই এর অভাব হলে সাধারণত ভিটামিন-ই ক্যাপ ৪০০ সেবন করে থাকি। সাধারণ অবস্থায় ভিটামিন-ই ক্যাপ ৪০০ ক্যাপসুলটি একদিনে একটি ক্যাপসুল সেবন করতে হয় এবং এটি সকাল বা রাতে খাওয়ার পরে সেবন করতে পারেন।

তবে নিয়ম অনুযায়ী এটি সেবন না করলে ই ক্যাপ 400 এর উপকারিতা এর বিপরীতে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে। তাই এটি নিয়ম মাফিক সেবন করতে হবে। তবে বিভিন্ন রোগের সমাধানের জন্য ভিটামিন-ই ক্যাপ ৪০০ সে রোগের ধরন অনুযায়ী নিয়ম করে খেতে হবে। এটি রোগের ধরন অনুযায়ী ডাক্তারের করে দেওয়া নিয়ম অনুযায়ী সেবন করতে হয়।

কারো শরীরে যদি ভিটামিন-ই এর ঘাটতি থাকে তাহে তা পূরন করতে ভিটামিন-ই ক্যাপ ৪০০ একধারে ৩ মাস সেবন করতে হবে। এটি সেবন করার নিয়ম হচ্ছে বড়দের ক্ষেত্রে ই-ক্যাপ ৪০০ প্রতিদিন একটি ক্যাপসুল সকালে অথবা রাতে খাওয়ার পরে সেবন করতে হবে।

এবং ১২ বছরের কম বয়সীদের ক্ষেত্রে ই ক্যাপ ২০০ ক্যাপসুলটি প্রতিদিন ১ টি করে সকালে খাওয়ার পরে সেবন করতে হবে। এটি একাধারে ১ মাস সেবন করলে এর ফলাফল দেখতে পাবেন।

 

ই ক্যাপ 400 এর অপকারিতা কি ?

 

ই ক্যাপ 400 এর উপকারিতা
ই ক্যাপ 400 এর অপকারিতা কি ?

সকল ঔষধের যেমন উপকারিতা রয়েছে তার পাশাপাশি এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও রয়েছে ই ক্যাপ 400 ও তার ব্যাতিক্রম নয়। আমরা কম বেশি সকলেই জানি ই ক্যাপ 400 এর উপকারিতা সম্পর্কে। আবার অনেকেই দেখা যায় যে দেহের উজ্জ্বলতা এবং চুলের বৃদ্ধির জন্য দিনে ২/৩ টি ই ক্যাপ ৪০০ সেবন করে থাকেন। যার ফলে শরীরে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার দেখা দেয়।

ই ক্যাপ সেবনে তেমন কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। তবে এটি অতিরিক্ত ও নিয়ম মাফিক সেবন না করলে বেশ কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। তবে সাধারণ অবস্থায়ও ই ক্যাপ ৪০০ সেবন বা ব্যবহারে নিচে উল্লেখিত পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে।

 

ই ক্যাপ ৪০০ ব্যবহারে তিনটি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিচে উল্লেখ করা হলো : ‌

১। ডায়রিরা হতে পারে।

২। শরীরে উচ্চ রক্তচাপ হতে পারে।

৩। শরীরে অনেক ক্লান্তি অনুভব হতে পারে।

তবে এই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া গুলো সকলের ক্ষেত্রে হয় না। যদি এটি নিয়ম মাফিক সেবন করা না হয় যেমন : কেউ এক দিনে ২/৩ খেয়ে ফেলে আবার ২ দিন না খেয়ে থাকে। ই ক্যাপ এরকম ভাবে ব্যবহারের ফলে  উপরে  উল্লেখিত  পার্শ্ব  প্রতিক্রিয়া  গুলো হতে পারে।

 

ই ক্যাপ ৪০০ ক্যাপসুলটি আপনি আগে থেকে সেবনকৃত কয়েকটি ঔষধের সাথে সেবন করতে পারবেন না যেমন:

১। যারা প্রেসারের রোগী আছেন এবং প্রেসারের ঔষধ সেবন করছেন তাদের জন্য ই ক্যাপ ৪০০ এবং ২০০ সেবন নিষিদ্ধ।

২। যারা শরীরের রক্ত পাতলা করার জন্য হার্টের ঔষধ সেবন করছেন তাদের জন্য ই ক্যাপ ৪০০ এবং ২০০ সেবন নিষিদ্ধ।

৩। যাদের মানসিক রোগ বা এইডস্ রোগ রয়েছে  তাদের জন্য ই ক্যাপ ৪০০ এবং ২০০ সেবন নিষিদ্ধ।

তবে এই রোগ গুলো থাকার পরেও যদি ই ক্যাপ একান্তই সেবন করতে হয় তবে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে সেবন করতে হবে।

 

ই ক্যাপ 400 এর দাম কত ?

 

ই ক্যাপ 400 এর দাম কত ?

ই ক্যাপ 400 ১ টি ক্যাপসুলের মূল্য ৭ টাকা।

ই ক্যাপ 400 ১০ টি অর্থাৎ এক পাতার মূল্য ৭০/৮০ টাকা।

ই ক্যাপ 400 ৫ পাতা অর্থাৎ ১ প্যাক এর মূল্য ৪২০ টাকা।

ই ক্যাপ 200 ১ টি ক্যাপসুলের মূল্য ৫ টাকা।

ই ক্যাপ 200 ১০ টি অর্থাৎ এক পাতার মূল্য ৫০ টাকা।

ই ক্যাপ 200 ৫ পাতা অর্থাৎ ১ প্যাক এর মূল্য ২৫০ টাকা।

উল্লেখিত ই ক্যাপ ৪০০ এবং ২০০ এর মূল্য স্থান বেধে কিছুটা ভিন্ন হতে পারে।

 

ই ক্যাপ চুলে ব্যবহারের নিয়ম কি ?

 

ই ক্যাপ 400 এর দাম কত ?

আমরা সকলেই জানি যে ই ক্যাপ ক্যাপসুল চুলের জন্য বেশ উপকারী। আমরা উপরে ই ক্যাপ 400 এর উপকারিতা সম্পর্কে জেনেছি। এর মধ্যে চুলের জন্য ও ই ক্যাপ ৪০০ খুবই কার্যকরী ভূমিকা রাখে। আমাদের চুল দাড়ি এবং ত্বক শরীরের উপরিভাগের অধিকাংশই সমাধান দিয়ে থাকে ভিটামিন-ই ক্যাপ।

শরীরে ভিটামিন-ই এর ঘাটতির কারনে অল্প বয়সে ছেলে এবং মেয়ে উভয়কেই অনেক বয়স্ক দেখা যায়। ভিটামিন-ই সেবনের মাধ্যমে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এবং চেহারাকে অনেক লাবন্যময় করে তোলা যায়।ভিটামিন-ই এর ঘাটতির কারনে মাথার চুল পড়ে যেতে শুরু করে।

চুলের গোড়া নরম হয়ে যাওয়া চুল পাতলা হওয়া এবং মাথায় খুস্কি হওয়া। এই ধরনের সমস্যা হলে চুলে ভিটামিন-ই ক্যাপ ব্যবহার করা হয়। এটি ব্যবহারে এই সমস্যা গুলোর অধিকাংশই দূর করা যায়। ভিটামিন-ই ক্যাপ বিভিন্ন সেলুন বা পার্লারের পেয়ে যাবেন তবে সেটা শুধু ব্যবহার করার জন্য খাওয়ার জন্য নয়।

ফার্মেসীতে যে ই ক্যাপ পাওয়া যায় তা মূলত খাওয়ার জন্য এবং চুলেও ব্যবহার করা যায়। ই ক্যাপ ট্যাবলেট দুই ধরনের হয়ে থাকে একটি হচ্ছে ই ক্যাপ ৪০০ মিলিগ্রাম এবং ই ক্যাপ ২০০ মিলিগ্রাম এই দুটোই আপনরা চুলে ব্যবহার করতে পারবেন। তবে আমি ব্যাক্তিগত সাজেস্ট করি ই ক্যাপ ২০০ মিলিগ্রাম।

খাওয়ার ক্ষেত্রে: ভিটামিন-ই ক্যাপ ২০০ ক্যাপসুলটি প্রতিদিন সকালে এবং রাতে খাওয়ার পরে একটি করে সেবন করতে হবে। এটি মিনিমাম এভাবে এক মাস সেবন করতে হবে এবং সর্বোচ্চ তিন মাস সেবন করতে পারেন।

ব্যবহারের ক্ষেত্রে: ই ক্যাপ ২০০ অন্য যেকোনো একটি তেলের সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। তাছাড়া আপনি চাইলে শুধু ই ক্যাপটি চুলে ব্যবহার করতে পারেন। এটি আপনি এক সপ্তাহে ৩ দিন ব্যবহার করতে পারেন। মনে রাখবেন তিন দিনের বেশি ব্যবহার করা উচিত নয়। ব্যবহারের পর চুল ধুয়ে ফেলা যাবে না। ব্যবহারের পরে এটি ৪/৫ ঘন্টা মাথায় রেখে দিতে হবে।

এভাবে এক মাস খাওয়ার এবং ব্যবহারের ফলে এর ফলাফল দেখতে পাবেন।

 

ই ক্যাপ ৪০০ মুখে ব্যবহারের নিয়ম।

 

ই ক্যাপ ৪০০ মুখে ব্যবহারের নিয়ম।

ভিটামিন-ই আমাদের দেহের ত্বক এর উজ্জ্বলতা বজায় রাখতে দারুন ভাবে কার্যকরী হয়ে থাকে। ত্বকের পাশাপাশি মুখেও ই ক্যাপ 400 এর উপকারিতা রয়েছে। মুখে ব্রন হলে ই ক্যাপ নিয়মিত ব্যবহারে মুখের ব্রন এবং ব্রন থেকে তৈরি হওয়া কালো দাগ দূর হয়ে যায়।

ভিটামিন ই ক্যাপ ৪০০ নিয়মিত মুখে ব্যবহার করলে এর ফলাফল দেখে আপনি অবাক হবেন। নিচে ই ক্যাপ ব্যবহারের তিনটি স্টেপ উল্লেখ করা হয়েছে এই পদ্ধতিতে ই ক্যাপ ব্যবহার করলে আপনার ত্বকে উজ্জ্বল করবে ফর্সা করবে এবং মুখের ব্রন দূর করবে স্কিনকে বেবি স্মুথ করে তুলবে।

 

নিচে ই ক্যাপ ব্যবহারের তিনটি স্টেপ তুলে ধরা হলো :

১। সর্বপ্রথমে আমাদের মুখ ক্নিনজিং করে নিতে হবে। ক্লিনজিং করার জন্য প্রথমে ২/৩ চা চামচ কাঁচা ধুদ নিতে হবে। এরপর কাঁচা ধুদের সাথে ৪ থেকে ৫ ফোটা লেবুর রস মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর এটি সারা মুখে লাগাতে হবে। যদি সারা শরীরে ব্যবহার করতে চান তাহলে আরেকটু বেশি পরিমানে ধুদ এবং লেবুর রস মিশিয়ে নিবেন।লাগানো হয়ে গেলে ৫/১০ মিনিট পরে মুখ ধুয়ে নিতে হবে। এভাবে ক্লিনজিং করতে হবে।

২। দ্বিতীয় স্টেপে আপনাকে একটি আলো নিতে হবে। আলো কুঁচি কুচি করে কেটে তা থেকে ৩ চা চামচ রস নিতে হবে। এর পর আলোর রসের সাথে ৬/৭ ফোটা মধু মিশিয়ে নিতে হবে। এর পর এটি মুখে ব্যবহার করতে হবে। সারা শরীরেও ব্যবহার করতে পারেন। তার জন্য বেশি পরিমানে আলোর এবং মধু ব্যবহার করতে হবে। লাগানো হয়ে গেলে ১০ মিন পরে ধুয়ে ফেলুন।

৩‌। তৃতীয় স্টেপে একটি ই ক্যাপ ৪০০ অথবা ২০০ এর রস একটি ছোট পাত্রে নিতে হবে এরপর পরিমান মতো কয়েক ফোটা এলোভেরার জেল মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর মুখে এবং সারা শরীরে ব্যবহার করতে হবে। এটি হাতে নিয়ে ম্যাসেজের মতো করে ২ থেকে ৩ মিনিট সময় নিয়ে শরীরে ব্যবহার করতে হবে। এটি লাগিয়ে শুয়ে পরবেন এবং সকালে ধুয়ে ফেলুন ।

এই তিনটি স্টেপে ভিটামিন-ই ক্যাপ ৪০০ ব্যবহার করলে ১৫/২০ দিনের মধ্যে এর কার্যকারিতা দেখতে পাবেন।

 

গলার কফ দূর করার ট্যাবলেট এর নাম।

 

পোস্ট টি উপকারে আসলে অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন।

 

ধন্যবাদ সবাইকে।

2 COMMENTS

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here